এনআইএ সূত্রে খবর, নিষিদ্ধ সংগঠনগুলির যোগসাজশে বেলডাঙা বিস্ফোরণ হয়। প্রতীকী চিত্র।
বেলডাঙা বোমা বিস্ফোরণ মামলার তদন্তভার নিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সূত্রের খবর, দু’টি সংগঠন রয়েছে গোয়ান্দাদের নজরে। তাঁদের দাবি, মূলত মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, বেলডাঙ্গা— এই এলাকাগুলোকে ‘টার্গেট’ করছে ওই সংগঠন দু’টি।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি রাতে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার রামেশ্বরপুর এলাকায় বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক জনের। বিস্ফোরণের জেরে একটি ঘরের ছাদ উড়ে যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ওই ভাঙা ঘর থেকে ৭৫টি সকেট বোমা এবং বোমা তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় জেলা পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এর পর তিন মাসের মধ্যে পাঁচ অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিস্ফোরণের ঘটনার আট মাস পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার নিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সিমি এবং বেশ কিছু সংগঠন নিষিদ্ধ হওয়ার পর তাদের নেতাকর্মীরা মোট দু’টি রাজনৈতিক সংগঠনের আড়ালে নিজেদের কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। মূলত, মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ান, বেলডাঙা— এই এলাকাগুলিতে সংখ্যালঘু ভাবাবেগকে কাজে লাগিয়ে একটি ‘প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করতে চাইছে সন্দেহভাজনরা। ফরাক্কার বেশ কয়েকটি গ্রামে ইতিমধ্যেই এরা বেশ কিছু সভা করেছে। দেশবিরোধী বিভিন্ন শক্তির আর্থিক মদতে এই যে সংগঠনগুলোর বাড়বাড়ন্ত বলে মনে করছে এনআইএ। এখন, মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে বাড়তে থাকা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের মূল পাণ্ডাদের পাকড়াও করে দেশবিরোধী কার্যকলাপের রাশ টানতে চাইছে এনআইএ।