Corona

দুবাই ফেরত যুবকের দেহে নতুন স্ট্রেন

বনগাঁর গোপালনগরের পাল্লা এলাকার বছর পঁচিশের এক যুবক। গত ১১ মার্চ দুবাই থেকে তিনি দেশে ফিরেছেন।

Advertisement

অমিত মণ্ডল

হরিণঘাটা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২১ ০৫:৫৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে গোটা বিশ্বে এখন আলোচনা চলছে। চিকিৎসক ও গবেষকেরা বার-বার সকলকে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে এবং করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলছেন। তা সত্ত্বেও কিছু লোকের বেপরোয়া মনোভাব বিপদ বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

যেমন, বনগাঁর গোপালনগরের পাল্লা এলাকার বছর পঁচিশের এক যুবক। গত ১১ মার্চ দুবাই থেকে তিনি দেশে ফিরেছেন। দমদম বিমানবন্দরে তাঁর নাক ও গলার রসের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয় এবং রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত অন্তত সতেরো দিনের জন্য বাড়িতে আলাদা ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিমানবন্দরের পরীক্ষকেরা তাঁকে বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কোনও নিষেধাজ্ঞার পরোয়া না করে সতেরো দিনের পরিবর্তে মাত্র ছয়-সাত দিন বাড়িতে কাটানোর পরেই ওই যুবক নদিয়ার হরিণঘাটার কাষ্ঠডাঙার কোনও এক আত্মীয়ের বাড়িতে চলে আসেন। আর মঙ্গলবারই জানা যায় যে, তিনি করোনা পজিটিভ! তার উপর তাঁর শরীরে পাওয়া গিয়েছে করোনার নতুন ‘ইউকে স্ট্রেন’। তাঁকে কলকাতার বেলেঘাটা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

প্রশ্ন উঠছে, বিমানবন্দর থেকে যাঁদের লালারসের নমুনা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে এবং মৌখিক ভাবে বাড়িতে নিভৃতাবাসে থাকতে বলা হচ্ছে তাঁদের উপর নজর রাখছেন কারা? নিয়ম ভাঙার প্রবণতা থাকতেই পারে। রোগ ছড়ানো আটকানো যাবে কী ভাবে? স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, নজরদারি চালাতে গেলে আইসোলেশন কেন্দ্রগুলি আবার খোলা উচিৎ, যেখানে এর আগে ভিন দেশ বা ভিন রাজ্য থেকে এলে প্রথমে রাখা হত। তা না-করে শুধু মানুষের শুভবুদ্ধির উপর ভরসা করে থাকলে পরিস্থিতি জটিল হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement