ওরা দু’জন খুন করেছে? হতবাক প্রতিবেশীরাও

সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বাপ্পারাজ খুনে ধৃত একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্র সাগ্নিক মুখোপাধ্যায় ও সামিম শেখকে রবিবার হোমে পাঠাল কৃষ্ণনগর জুভেনাইল কোর্ট। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

তেহট্ট শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বাপ্পারাজ খুনে ধৃত একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্র সাগ্নিক মুখোপাধ্যায় ও সামিম শেখকে রবিবার হোমে পাঠাল কৃষ্ণনগর জুভেনাইল কোর্ট।

Advertisement

স্কুলে সহপাঠীদের ব্যাগ থেকে টাকা চুরির অপবাদের জেরে গত সোমবার খুন হয়েছিল নাজিরপুর বিদ্যাপীঠের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র বাপ্পারাজ শেখ (১৩)। মঙ্গলবার তার মৃতদেহ উদ্ধারের চার দিন পরে, শনিবার ওই দু’জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে। গত ক’দিনে ওই স্কুলের আট জন ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাতে সাগ্নিককে ও শনিবার দুপুরে সামিমকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। বাপ্পারাজের বাবা বাপি শেখ বলেন, “আমার কোনও শত্রু ছিল না। তাই কেউ যে আমার ছেলেকে খুন করতে পারে, এমনটা ধারণাও করতে পারিনি। তবে পুলিশ যা বলছে, তা যদি সত্যি হয়, ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্র যদি ওকে খুন করে থাকে, ওদের কঠোর শাস্তি চাই।”

Advertisement

সামিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, টানাটানির সংসারে খুব কষ্টে সামিম ও তার দিদির পড়াশোনা চলত। সামিম যে এমন কিছু করতে পারে তা কেউ ভাবতেও পারেনি। বাপ্পারাজের গলার নলিকাটা দেহ মেলার পরেও সে বাড়িতে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আচরণ করছিল। এমনকি স্কুলে যাবে বলেও বায়না করছিল। কিন্তু এলাকার পরিস্থিতির কথা ভেবে ওকে স্কুলে যেতে বারন করা হয়েছিল। সে-ই যে শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় জড়িত, তা জেনে সবাই হতবাক। অপর অভিযুক্ত সাগ্নিকের প্রতাপনগরের বাড়িতে গিয়ে কাউকে দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে এলাকার মানুষরা জানান, সাগ্নিক বাবা-মায়ের এক মাত্র সন্তান। সচ্ছল পরিবারের ছেলে সাগ্নিকের সাম্প্রতিক আচার-আচরণ ভাল ঠেকছিল না পড়শিদের একাংশের। তবে সে যে এই ধরনের কিছু ঘটাতে পারে, তা তাঁরাও কেউ ভাবতে পারেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement