ঘটনার পরে ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও নওদার রাজপুরের ডাকাতি এবং গণপিটুনির ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। বুধবার রাতে রাজাপুরের সৈয়দ শেখের বাড়িতে লুঠপাট চালায় একদল দুষ্কৃতী। এক দুষ্কৃতীকে তাড়া করে পিটিয়ে মেরে ফেলে উন্মত্ত জনতা। দুষ্কৃতীদের হামলায় জখম দুই ব্যক্তি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সৈয়দ সেখের পরিবারের সদস্যরা এখনও চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
সৈয়দের স্ত্রী আলতাফুন বিবি জানান, বলেন, ‘‘সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। কেন আমাদের বাড়িতে ডাকাতরা হামলা চালালো জানি না।’’ জখমদের চিকিৎসার খরচ কী ভাবে জোগাড় করবেন তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা থানারপাড়ার চরমোক্তারপুরের বাসিন্দা। গ্রামেরই কয়েকজনের বক্তব্য, গণপিটুনির ঘটনায় নিহত নূর ইসলাম মৃত্যুর আগে জানিয়েছিল, তাদের সঙ্গে রাজপুরের বেশ কয়েক জন যুক্ত। তাদের প্রশ্রয়েই ডাকাতির ছক কষা হয়েছিল। পুলিশের মতে, নদিয়ার চরমোক্তাপুর এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী আশ্রয় নেয়। পুলিশ দাগিদের দিয়ে দুষ্কৃতীদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। নদিয়া পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। শিগ্গিরই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়বে।