পুলিশ, রানাঘাট পুরসভা ও জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ কর্তৃপক্ষের যৌথ পরিদর্শন। শুক্রবার রানাঘাটে। ছবি সুদেব দাস।
জাতীয় সড়ক পারাপারের জায়গা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রানাঘাটে পথ অবরোধ করেছিলেন বাসিন্দারা। সমস্যা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার দুপুরে রানাঘাট পুরসভা ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করলেন জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ কর্তৃপক্ষ। শেষ পর্যন্ত শহরের বাসিন্দাদের দাবি মেনে আন্ডারপাস হবে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।
রানাঘাট শহরকে পূর্ব ও পশ্চিমে বিভক্ত করেছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। দুই পারেই রয়েছে একাধিক প্রশাসনিক দফতর, স্কুল, কলেজ। শহরবাসীকে প্রতিদিনই সড়ক পারাপার করতে হয়। তার জন্য দু’টি প্রধান এলাকা প্রামাণিক মোড় ও কোর্ট মোড়। তার মধ্যে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রামাণিক মোড় দিয়ে সড়ক পারাপারের জায়গা বন্ধ করে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ করতে চেয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পথে নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ দিন সকালে ওই এলাকায় পরিদর্শনে আসেন রানাঘাট পুলিশ জেলা সুপার কুমার সানি রাজ। এর পর পুলিশ, পুরসভা ও জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ কর্তৃপক্ষের তরফে চূর্ণী সেতু থেকে মিশন রেলগেট পর্যন্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়। রানাঘাটের পুরপ্রধান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "মহকুমার একাধিক প্রশাসনিক দফতর রয়েছে জাতীয় সড়কের পশ্চিম পারে। রাস্তা পারাপারের জন্য প্রামাণিক মোড় বন্ধ করে দিলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বে। এ দিন পুরসভার পক্ষ থেকে সেই সমস্যার কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে।" নদিয়া জেলার জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্প আধিকারিক রাজু কুমার বলেন, "সাধারণ মানুষের দাবি মত প্রামানিক মোড় এলাকায় যাতায়াতের জন্য আন্ডারপাসের ব্যবস্থা করা হবে।"
এই সিদ্ধান্তে খুশি শহরের বাসিন্দারা। কারণ কাল, ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে রানাঘাট এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। কাজ শেষ করার সময়সীমা আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।