তরুণীর অভিযোগ, বাড়ির অমতে বিয়ে করেছিলেন বলে তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করেন বাবা-ভাইয়েরা। —প্রতীকী চিত্র।
স্বামীর সঙ্গে গাড়ি করে বাজারে যাচ্ছিলেন এক বধূ। বাইক নিয়ে তাঁদের ধাওয়া করে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি। ওই বধূর অভিযোগ, তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছিল। এবং সেটা করেছেন তাঁর বাবা, ভাই-সহ মোট ৮ জন। নদিয়ার তেহট্টের ঘটনা।
মাসখানেক আগে আশাদুল শেখকে বিয়ে করেন রিজিয়া সুলতানা। তাঁদের বাড়ি পলাশিপাড়া থানার হাঁসপুকুরিয়া গ্রামে। কিন্তু এই বিয়েতে রিজিয়ার পরিবারের অনুমতি ছিল না। সোমবার দুপুরে পলাশীপাড়া এবং নাকাশিপাড়া সীমানায় বাইকে করে জনা দশেক লোক চারচাকা গাড়িতে থেকে রিজিয়াকে অপহরণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে নিজেকে ছাড়িয়ে তিনি পলাশীপাড়া থানায় অভিযোগ করেছেন। সেখানে বধূর দাবি, তাঁকে অপহরণের চেষ্টা করেছেন বাবা ও ভাই।
রিজিয়া জানান, সোমবার গাড়ি করে স্বামী এবং স্বামীর এক বন্ধুর সঙ্গে বার্নিয়া এলাকার বাজারে যাচ্ছিলেন। বাজার করে তাঁরা যখন গাড়িতে উঠছিলেন, ঠিক ওই সময় বেশ কয়েক’টি বাইক নিয়ে জনা দশেক লোক তাঁদের সামনে হাজির হন। তাঁদের মধ্যে তাঁর বাবা ও ভাইও ছিলেন। বধূর অভিযোগ, ভয়ে আবার গাড়িতে উঠে বেথুয়াডহরির দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু গাড়ির সামনে এসে পড়ে ওই বাইকগুলো। এর পর গাড়ির দরজা খুলে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বাইকে তোলার চেষ্টা করেন বাবা-ভাই। গাড়ি থেকে নামতে না চাইলে, তাঁদের মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন রিজিয়া। তিনি বলেন, ‘‘স্বামী আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে। তাকেও মারধর করা হয়।’’
রিজিয়া, আশাদুল এবং তাঁর বন্ধু নীলেশের চিৎকারে আশেপাশের মানুষ জন ছুটে আসেন। তাঁদের প্রাথমিক গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। পরে বধূ তাঁর বাবা রশিদ শেখ, ভাই ইরফান শেখের নামে অভিযোগ করতে যান থানায়। যদিও পলাশীপাড়া থানার পুলিশ জানাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে নাকাশিপাড়া থানা এলাকার। তাই ওই থানায় অভিযোগ জানাতে হবে।