আদালতে এক ধৃত। নিজস্ব চিত্র
শুনানি হলেও চার্জ গঠন হল না নদিয়ার নাবালিকা গণধর্ষণ ও খুনের মামলায়। এর আগের দু’দিন সিবিআই জানিয়েছিল, ভারপ্রাপ্ত আইনজীবি আসেননি। তাই চার্জ গঠন পিছিয়ে যায়। শনিবার আবার অভিযুক্তদের আইনজীবীরা আদালতে অভিযোগ করেন, সিবিআই তাঁদের প্রয়োজনীয় নথিপত্র দেয়নি। এই নিয়ে টানাপড়েনে চার্জ গঠন ভেস্তে যায়। নয় ধৃতের জামিনের আবেদনও যথারীতি নাকচ হয়ে গিয়েছে।
গত ৭ জুলাই রানাঘাটের বিশেষ পকসো আদালতে সিবিআই চার্জশিট জমা দেয়। তাতে ন’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সকলেই গ্রেফতার হয়েছে। এর পর প্রায় দু’মাস পেরোতে চললেও চার্জ গঠন করা গেল না। এ দিন বিচারক সুতপা সাহার এজলাসে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা জানান, সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার আগে তদন্ত শুরু করেছিল স্থানীয় পুলিশ। সেই সংক্রান্ত নথি এখনও সিবিআইয়ের তরফে তাঁদের দেওয়া হয়নি। যে সমস্ত নথি দেওয়া হয়েছে যেমন ‘সিজার লিস্ট’ ইত্যাদি, সেগুলির ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা রয়েছে। অনেক জায়গা পড়া যাচ্ছে না। বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে বলেন, যে সব নথি আদালতে জমা হয়েছে তার সঙ্গে মিলিয়ে আইনজীবীদের পর্যাপ্ত নথি দিতে। অন্যথায় মামলার চার্জ গঠনে বিলম্ব হচ্ছে। সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, কোন কোন নথি লাগবে তা জানানো হলেই তারা তা দেবে। বিচারক অভিযুক্ত পক্ষকে নথির জন্য একটি পিটিশন জমা দিতে বলেন।
এ দিন মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালি, তার বাবা সমরেন্দু গয়ালি, দীপ্ত গয়ালি এবং আকাশ বারুইয়ের তরফে আইনজীবী অপূর্ব বিশ্বাস এবং রঞ্জিত মল্লিকের তরফে আইনজীবী বিশ্বজিৎ চৌধুরী জামিনের আবেদন জানান। বিশ্বজিৎ আদালতে দাবি করেন, অভিযোগকারিণী অর্থাৎ মৃতার মা তাঁর জবানবন্দির বয়ানে দু’বার দুরকম কথা বলেছেন। প্রথম বার বলেছেন, সাইকেলে চেপে এক মহিলা মেয়েকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসে হুমকি দেন। দ্বিতীয় বার তিনি বলেন, এই মামলার অভিযুক্তেরা তাঁদের হুমকি দেয়। তাঁর কথায় পরস্পরবিরোধিতা রয়েছে। আইনজীবী অপূর্ব বিশ্বাসও একই দাবি করেন। সিবিআইয়ের আইনজীবী অবশ্য পাল্টা দাবি করেন, কোনও পরস্পরবিরোধিতা নেই, বস্তুত তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। পরের শুনানি হবে ১৭ সেপ্টেম্বর।