জেসিআইয়ে স্মারকলিপি জমা দিতে আসছেন চাষিরা। নওদার পাটিকাবাড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
নয়ানজুলির বা খাল বিলের পাট পচার গন্ধ জানান দেয়, পুজো এসে গিয়েছে। আর মুর্শিদাবাদের অন্যতম অর্থনৈতিক ফসল পাটের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে পুজোর বাজার। ঠিক সেখানেই চিন্তা মাথা চাড়া দিচ্ছে। এ বার বৃষ্টির ঘাটতির জেরে মুর্শিদাবাদে পাট চাষ ক্ষতির মুখে পড়েছে। একদিকে নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে পাট কাটতে হয়েছে, অন্যদিকে অনেকেই কম জলে পাট জাক দিয়েছেন। যার ফলে পাটের তন্তুর গুণগত মান যেমন খারাপ হয়েছে, তেমনই পাটের রংও খারাপ হয়েছে।
কিন্তু দুর্গাপুজো আসন্ন। পাট মার খাওয়ায় মুর্শিদাবাদে পুজোর বাজার ভাল হবে তো, সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ী মহলে। ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক কল্যাণ সাহা বলেন, ‘‘এ বার আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে পাট-সহ সব ধরনের চাষের সমস্যা হয়েছে। যার জেরে চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। পাটের দাম কমের কারণে অন্য ব্যবসার উপরেও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।’’ বহরমপুর ক্লথ মার্চেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাপস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৃষ্টির সঙ্গে যেমন পাটের সম্পর্ক, তেমনই পাটের সঙ্গে পুজোর বাজারের সম্পর্ক রয়েছে। এ বারের পাটের দাম কম। অন্যদিকে পুজো কাছাকাছি চলে এলেও বাজারে লোক নেই। ফলে এবারে পুজোর বাজার ভাল হওয়ার সম্ভাবনা কম।’’ বহরমপুরের পাট চাষি গদাধর মণ্ডল বলছেন, ‘‘পাট বিক্রি করে তো পুজো বাজার করতে হয়। পুজো আসতে দেরি থাকলেও এখন যা পাটের দাম তাতে মন খারাপ। চাষের খরচই উঠছে না তো পুজোর বাজার কীভাবে করব তা নিয়ে ভাবতে হবে।’’ ডোমকলের পাট ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘‘পাটের গুনগত মান খুব খারাপ। ৩৮০০-৪৫০০ টাকা কুইন্টাল প্রতি দাম দাঁড়িয়েছে।’’