ফাইল ছবি।
বিজেপির নিলম্বিত (সাসপেন্ডেড) মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্য এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের জের পৌঁছল নদিয়াতেও। বেথুয়াডহরিতে রেল ও পথ অবরোধের জেরে চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে সাধারণ মানুষ। পুলিশি হস্তক্ষেপে রেল ঘণ্টাখানেকের মধ্যে রেল অবরোধ উঠে যায়। দফায় দফায় জাতীয় সড়ক অবরোধে বিঘ্নিত উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলে নদিয়ার বেথুয়াডহরি স্টেশনে রেল অবরোধের জেরে গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি হয়। ভাঙচুর করা হয় স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উপরের কয়েকটি দোকানে। অবরোধের জেরে আপ রানাঘাট-লালগোলা প্যাসেঞ্জার আটকে পড়ে। বেথুয়াডহরি স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে পড়ে ডাউন হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস। অবরোধের জেরে রানাঘাট লালগোলা শাখায় ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক জানান, অবরোধের জেরে বেথুয়াডহরি স্টেশনে দু’টি ট্রেন আটকে পড়ে। পাশ থেকে ছোড়া পাথরের আঘাতে কয়েক জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি। ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলার পর পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়।
অন্য দিকে স্টেশন সংলগ্ন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা। টায়ার জ্বালিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। এর ফলে কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সংযোগের প্রধান রাস্তা পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়ে একের পর এক বাস, ট্রাক, গাড়ি। চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। পুলিশ সেই অবরোধও তুলে দেয়। তবে তার কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার রাস্তা আটকানোর চেষ্টা হয়। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ঈশাণী পাল আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। আশা করছি কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।’’ অবরোধ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশ আট জনকে গ্রেফতার করেছে। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
রবিবার দুষ্কৃতীদের ভাঙচুরের প্রতিবাদে বেথুয়াডহরি ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি ৭২ ঘণ্টার বাজার বন্ধের ডাক দিয়েছে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে বাজার বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সম্পাদক পরিমল ঘোষ। বেথুয়াডহরি যে থানার অন্তর্গত, সেই নাকাশিপাড়া থানা এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা।