প্রতীকী চিত্র।
আমবাগান থেকে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। আমগাছের ডাল থেকে দড়ির ফাঁসে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় এক প্রৌঢ়কে। নাম সিদ্ধেশ্বর দুর্লভ (৬১)। তাঁর বাড়ি কোতোয়ালি থানার দিগনগর মোদকপাড়ায়। ওই বাগানেই রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলার মৃতদেহ পড়ে ছিল। তাঁর বয়স পঞ্চাশ বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান। ওই মহিলার নাম ও ঠিকানা জানাতে পারেনি পুলিশ। তাঁকে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, ওই প্রৌঢ়ের দুই বিয়ে। তবে স্ত্রীরা কেউই তাঁর সঙ্গে থাকতেন না। তিনি দিগনগর বাজারে আনাজ বিক্রি করতেন। ওই মহিলাও একই বাজারে আনাজ বিক্রি করতেন। কয়েক মাস ধরে তাঁদের দু’জনকে মাঝে-মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় এক সঙ্গে দেখা যেত বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। পুলিশের অনুমান, দু’জনের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই সম্পর্কের টানাপড়েনের জেরেই প্রৌঢ় শুক্রবার সকালে ওই মহিলাকে আমবাগানে ডেকে এনে কুপিয়ে খুন করে নিজে গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে প্রৌঢ়ের হাতেও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। প্রাথিমক ভাবে পুলিশের অনুমান, অস্ত্র হাতে ধস্তাধস্তির সময়ে নিজের অস্ত্রের আঘাতেই তাঁর হাত কেটেছে। এই ঘটনায় কারও পরিবারের তরফেই পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
সিদ্ধেশ্বরের পরিবারের দাবি, আর পাঁচটা দিনের মতই এ দিনও তিনি বাজারে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু আনাজ বাজারে যাননি। দুপুরে স্থানীয় এক যুবক আম বাগানের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময়ে প্রথমে সিদ্ধেশ্বরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে
থাকতে দেখেন।