ভরসার খোঁজ অন্য চোখে

২০১৪ সালে বহরমপুরের কাদাই এলাকার আশাবরী আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে একই পরিবারের তিন মহিলা খুনের ঘটনা ঘটেছিল।

Advertisement

শুভাশিস সৈয়দ

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

ফের একই পরিবারের তিন জন খুন। ফের জেলা জুড়ে হইচই। এবং ফের খোঁজ পড়েছে সিসিক্যামেরার।

Advertisement

যেমনটি পড়েছিল পাঁচ বছর আগে। ২০১৪ সালে বহরমপুরের কাদাই এলাকার আশাবরী আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে একই পরিবারের তিন মহিলা খুনের ঘটনা ঘটেছিল। সে বারও ঘটনার পরেই পুলিশ প্রশাসন থেকে পুরসভা প্রতিটি আবাসনে সিসিক্যামেরা লাগানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। সেই মতো বিভিন্ন আবাসন কর্তৃপক্ষ আবাসিকদের সঙ্গে বৈঠক করে সিসিক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ওই খুনের ঘটনা থিতিয়ে যেতেই সিসিক্যামেরা বসানোর বিষয়টিও আড়ালে চলে গিয়েছিল।

এখন দশমীর দুপুরে জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা-সহ একই পরিবারের তিন জন খুনের ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় কিছুটা হলেও জিয়াগঞ্জের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাঁদের কেউ কেউ নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে যেমন সিসিক্যামেরা বসানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন, তেমনি নতুন করে বহরমপুরের বিভিন্ন দোকানে সিসিক্যামেরার খোঁজ পড়ছে। বহরমপুরের রানিনবাগন এলাকার এক কম্পিউটার বিক্রির দোকান মালিক সৈকত পাল বলছেন, ‘‘দেখুন জিয়াগঞ্জের ঘটনার পরে নতুন করে বাড়িতে সিসিক্যামেরা বসানোর জন্য খোঁজখবর নিচ্ছেন লোকজন। কেউ কেউ শো-রুমে এসেও বিস্তারিত জেনে যাচ্ছেন, ঠিক কী ধরণের সিসিক্যামেরা লাগালে বিষয়টি কার্যকর হবে।’’

Advertisement

সে ক্ষেত্রে বাজারে নামী কোম্পানীর বেশ কিছু সিসিক্যামেরা রয়েছে। তার মধ্যে ১ মেগা পিক্সেল, ১.৩ মেগা পিক্সেল, ২ মেগা পিক্সেল সিসিক্যামেরার দাম পড়ছে যথাক্রমে ১০০০, ১৩০০ এবং ১৭০০ টাকা। এর সঙ্গে ডিভিআর, জ্যাক, হার্ড ডিস্ক, মনিটর মিলিয়ে কমপক্ষে দাম পড়বে সাড়ে চার থেকে সাড়ে ছ’হাজার টাকা। ওই টাকায় সিসিক্যামেরা বসানোর পরে ওয়াইফাই-এর সঙ্গে সংযোগ করে নিজের স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে বাড়ির বাইরে থেকেও ঘরের মধ্যে কোনও কিছু ঘটলে দেখা যাবে।

বহরমপুরের এক সিসিক্যামেরা বিক্রেতা জানান, কেউ ফ্ল্যাটের বাইরে মূল দরজার উপরে এবং কেউ কেউ বাড়ির চারপাশে অনেক সময়ে সিসিক্যামেরা লাগান। এ ছাড়া স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই চাকরি করেন এবং বাড়িতে ছোট ছেলেমেয়েদের দেখভাল করেন পরিচারিকা, তাঁদের মধ্যে সিসিক্যামেরা বসানোর

প্রবণতা রয়েছে।

বহরমপুর পুরসভার প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘সিসিক্যামেরা বসানোর বিষয়টি কড়া হাতে মোকাবিলা করা হবে।’’ জিয়াগঞ্জের পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলছেন, ‘‘পুরবাসিন্দাদের কাছে আবেদন করেছি বাডি়তে বা বাড়ির বাইরে সিসিক্যামেরা বসানোর জন্য। সেই সঙ্গে সিসিক্যামেরা বসানোর সরকারি অনুমোদন মিলেছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement