উৎপল বেহরা। —ফাইল চিত্র
জিয়াগঞ্জে সপরিবার খুন হওয়া প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের মোবাইলের হদিস না পেলেও পুজোর মুখে বাড়ি ফিরেই ওই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহেরা যে নতুন ফোন কিনেছিল তা পুলিশের নজরে এসেছে। সেই ফোনের স্ক্রিন গার্ড লাগাতেই দশমীর সকালে সে সাগরদিঘি গিয়েছিল, তদন্তকারীদের কাছে এমনই দাবি জানিয়ে আসছিল উৎপল।
ফোনের টাওয়ার লোকেশন অবশ্য ধরিয়ে দিয়েছিল, কথাটা ঠিক বলছে না বছর বাইশের ওই রাজমিস্ত্রি। আর তার জেরেই এক সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সামনে ভেঙে পড়েছিল সে। উৎপলের সেই নতুন ফোনের সূত্র ধরেই বন্ধুপ্রকাশের হারানো ফোনের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।
এক তদন্তকারী অফিসার বলছেন, ‘‘সব কথাই স্বীকার করে নিলেও নবমীর রাত আর দশমীর সকালে তার অবস্থান নিয়ে এখনও অসংলগ্ন কথা বলছে উৎপল।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, ‘‘যতটা বোকাসোকা মনে হচ্ছিল, তত সরল সাধাসিধে উৎপল নয়। আপাতত তাই তাকে বিশেষ জেরা না করে একলা থাকতে দিয়েই তার উপরে পরোক্ষ চাপ দেওয়া হচ্ছে। যদি তার জেরে নিজে থেকেই কিছু কথা বলে বসে সে।’’
অন্য অভিযুক্ত সৌভিক বণিককে অবশ্য এ দিনও জেরা করা হয়। বিমার বিভিন্ন পলিসির খোঁজ খতিয়ে দেখে আরও কোনও সূত্র বের করা যায় কি না, পুলিশের খোঁজ এখন সে দিকে।