কলেজছাত্রী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত যুবক
কলেজছাত্রীকে খুনের ঘটনায় মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সুতপা চৌধুরী নামে ওই ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর রাত ১০টা নাগাদ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ফেলল জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা।
ধৃতের নাম সুশান্ত চৌধুরী। সমশেরগঞ্জের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, সুতপা ও সুশান্তের মধ্যে এক সময় প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি সুতপা ওই সম্পর্ক থেকে সরে আসায় ‘প্রতিশোধ’ নিতেই তাঁকে খুন করেছে সুশান্ত। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। ওই ব্যাগেই মিলেছে ব্লেড আর ছুরি। তাতে রক্তের দাগও রয়েছে। উদ্ধার হয়েছে একটি বন্দুকও। যদিও সেটি খেলনা বন্দুক বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাত ১১টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ সুপার কে শবরী রাজ কুমার বলেন, ‘‘ধৃতকে এখন জেরা করা হচ্ছে। কী ভাবে ও এই খুনের পরিকল্পনা করল, আর কারা কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা জানার চেষ্টা চলছে। সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা খবর পাই। ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত যেখানে যেখানে গিয়েছে, সেই জায়গায় ধরে ট্র্যাক করেই গ্রেফতার করা হয়েছে। যোগাযোগ করা হয়েছিল জঙ্গিপুর ও সমশেরগঞ্জ থানার সঙ্গেও।’’
মঙ্গলবার সুশান্তকে বহরমপুর আদালতে হাজির করিয়ে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলেও জানান এসপি।
বহরমপুর গার্লস কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সুতপার বাড়ি মালদহের ইংরেজ বাজারে। তিনি বহরমপুরে সূর্য সেন রোডে গোরাবাজারে একটি মেসে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দুই যুবক এসে তাঁকে মেস থেকে বাইরে আসতে বলে। সুতপা বাইরে এলেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে সুশান্ত তাঁর উপর অতর্কিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপরও বন্দুক দেখিয়ে চড়াও হয় হামলাকারী। এর পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই দুই যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই কলেজছাত্রীকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।