সংক্রমণের নালিশ অস্ত্রোপচার হওয়া রোগীদের। প্রতীকী চিত্র।
গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যাঁদের অস্ত্রোপচার হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগের সংক্রমণ হয়েছে। বহরমপুরের মোহনা বাস টার্মিনাসের কাছের একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছিলেন ভুক্তভোগী রোগীরা। অভিযোগ পাওয়ার পরে ওই নার্সিংহোম পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
বুধবার মুর্শিদাবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ স্যানাল বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরে জেলা স্তরের ক্লিনিক্যাল বোর্ডের বৈঠক হয়েছে। সেখানকার সিদ্ধান্ত মতো সম্প্রতি ওই নার্সিংহোমটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করা হচ্ছে।’’
স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার দাবি, তদন্ত নেমে দেখা গিয়েছে ওই নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচার হয়েছে এমন ৮১ জন রোগীর সংক্রমণ হয়েছে।বুধবার ভুক্তভোগী রোগীদের একাংশ বহরমপুরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে এসেছিলেন। তাঁরা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত যাঁদের ওই নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচার হয়েছে তাঁদের ক্ষত সারতে চাইছে না। চার পাঁচ মাসে সেই ক্ষত শুকোতে চাইছে না। উল্টে জ্বালা করছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ না করায় অনেক টাকা খরচ করে বাইরে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে।
নদিয়ার পলাশি থেকে বুধবার রহিমা বিবি বহরমপুরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসে এসেছিলেন। এ দিন তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত নভেম্বরের ২ তারিখে ওই নার্সিংহোমে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তার পরে এখনও অস্ত্রোপচারের ক্ষতের জায়গা ঠিক হয়নি। আবার নওদার মোসাব্বির হোসেন জানান, তাঁর স্ত্রীর ক্ষতও সংক্রমণের জেরে সারছে না।
তবে ওই নার্সিংহোমের দেওয়া মোবাইল নম্বর ফোন করা হলে ফোন ধরেননি। যার জেরে তাঁদের বক্তব্য জানা যায়নি।তবে প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের মুর্শিদাবাদের চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর অধিকারী বলেন, ‘‘দ্রুত সঠিক তদন্ত হোক। যদি নার্সিংহোম থেকে সংক্রমণ ছড়ায় তাহলে কর্তৃপক্ষকে বলে জীবাণু মুক্ত করার ব্যবস্থা করা হোক। আর সেখান থেকে সংক্রমণ না ছড়ালে দ্রুত চালু করা হোক। অনেকের জীবিকার প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে।’’