Illegal Sand

অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে মজুত বিপুল পরিমাণ বালি এবং যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করল মুর্শিদাবাদ প্রশাসন

কতটা বালি মজুত করা যাবে, সে সম্পর্কে সরকারি নির্দেশিকা রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, বহরমপুরে অনেক বালি ব্যবসায়ীই সেই নির্দেশিকা অমান্য করে বালি মজুত করে রাখেন। সেখানেই অভিযান প্রশাসনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৪ ১২:৩২
Share:

বহরমপুরে অবৈধ ভাবে মজুত করা বালি বাজেয়াপ্ত করতে অভিযান প্রশাসনের। — নিজস্ব চিত্র।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালি মজুত চালিয়ে যাচ্ছিলেন বেশ কয়েক জন ‘অসাধু’ ব্যবসায়ী। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে একাধিক ‘স্টক পয়েন্টে’ অভিযান চালিয়ে বেআইনি ভাবে মজুত প্রচুর পরিমাণ বালি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বালি তোলার কাজে ব্যবহৃত কয়েক লক্ষ টাকার যন্ত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে ভূমি এবং রাজস্ব দফতর। বাজেয়াপ্ত করা যন্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে।

Advertisement

ভূমি এবং রাজস্ব দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তার ধারে উঁচু ঢিবি করে অবৈধ ভাবে মজুত করা হচ্ছিল বিপুল পরিমাণ বালি। নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে সক্রিয় হয় সংশ্লিষ্ট দফতর। একটি দল গঠন করে অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় সেই বালি। ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর থানা এলাকার রাধার ঘাটে। অবৈধ বালি মজুতের কাজে ব্যবহৃত দু’টি গাড়ি এবং বালি তোলার একটি স্বংয়ক্রিয় যন্ত্রও আটক করেছে প্রশাসন।

মুর্শিদাবাদ জেলা ভূমি রাজস্ব দফতরের এক শীর্ষকর্তা জানান, অনেকেই নির্দিষ্ট পরিমাণের বাইরে অতিরিক্ত বালি মজুত করেন। সেই অতিরিক্ত মজুত করা বালি বাজেয়াপ্ত করেছে জেলা প্রশাসন। ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ বালি মজুত করে রাখতে পারেন। কিন্তু কতটা বালি মজুত করা যাবে, তা নির্দিষ্ট করা আছে সরকারি নির্দেশিকায়। কিন্তু অভিযোগ আসছিল, তার বাইরেও অনেকে পাহাড়প্রমাণ বালি মজুত করে, চাহিদা বৃদ্ধি পেলে তা চড়া দামে বিক্রি করছিলেন। অভিযান চালিয়ে সেই অতিরিক্ত বালি বাজেয়াপ্ত করা হয়। ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান চলবে বলে মুর্শিদাবাদ জেলা ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement