৭বছর পর প্রকাশ্যে এল খুনের ঘটনা। প্রতীকী চিত্র।
পরিবারের লোকজন প্রায় হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। গ্রামবাসীরাও এক রকম ভুলে গিয়েছিলেন ঘটনার কথা। কিন্তু সাত বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এল পুলিশি তদন্তে। আদালতের নির্দেশে নতুন করে তদন্তে নেমে বড় সাফল্য পেল ডোমকল থানার পুলিশ।
২০১৬ সালে ডোমকল থানার গঙ্গাদাসপাড়া এলাকার বালিপাড়ার রোসপিয়ার মল্লিক নামের এক যুবককে খুনের অভিযোগ রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হল দু’জনকে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দু’জনের এক জন সানাউল্লাহ শেখ ও আর এক জন মহিলা। এদের বাড়ি ডোমকল থানার বঘারপুর রমনা ও বালিপাড়া এলাকায়। তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ত্রিকোণ প্রেম ও আর্থিক লেনদেনের কারণেই ওই খুনের ঘটনা ঘটেছিল।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দু’জন খুনের ঘটনা কবুল করেছে। প্রথমে খুন করার পরে মহিলার বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ রাখার পরে সেখান থেকে দেহ তুলে কিছুটা দুরে বাগানে দেহ পুঁতে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে পুলিশ ওই এলাকাটি নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় ঘিরে রেখেছে বলেও জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
কিন্তু একটি খুনের ঘটনার কিনারা করতে এত দিন সময় লাগল কেন?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালের ওই ঘটনা তদন্তে নেমে পুলিশ ব্যর্থ হয়েই আদালতকে জানিয়ে দিয়েছিল কোনও তথ্য না পাওয়ার কথা। পরে আদালত এই ঘটনার নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় ২০২২ সালে। আর তার পরেই ডোমকল থানার পুলিশ নতুন করে তদন্ত শুরু করে। কিছুদিন আগে থানার এক এসআই ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে মাঠে নামেন। পুলিশকর্তাদের দাবি, তাঁর কঠোর পরিশ্রম এবং বুদ্ধিদীপ্ত তদন্ত এত দিন পরে খুনের কিনারা করতে সাহায্য করেছে। জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে নতুন করে তদন্ত শুরু করেই সাফল্য মিলেছে। অভিযুক্ত দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে ওই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে।’’ মঙ্গলবার ওই এলাকা খুঁড়ে কঙ্কাল পাওয়া গেলে তা সংগ্রহ করে ডিএনএ পরীক্ষা করার চিন্তাভাবনা করছে পুলিশ।
রোসপিয়ারের মা ফিরোজা বিবি বলছেন, ‘‘ছেলের সঙ্গে অভিযুক্ত মহিলার একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিল তার উপরে। ছেলের কী হয়েছে এখনও জানি না। পুলিশ কিছু বলেনি কিন্তু যদি খুন হয়ে থাকে তাহলে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।’’