Murshidbad

প্রতিবেশীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় শাশুড়ি, দেখে ফেলায় বৌমাকে খুনের অভিযোগ মুর্শিদাবাদের গ্রামে!

হরিহরপাড়ায় এসমাতারা বিবি নামে এক জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিবারের দাবি, শাশুড়ির বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলেছিলেন ওই বধূ। তাই তাঁকে মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ২২:৪৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

শাশুড়ির সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল এক প্রতিবেশীর। তাঁদের দু’জনকে ‘আপত্তিজনক’ অবস্থায় দেখে ফেলায় খুন করা হয়েছে। মঙ্গলবার এমনই অভিযোগকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদেপ হরিহরপাড়া এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মৃতার বাপের বাড়ির দাবি, খুন করে সেটাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যদিও যুবতীর মৃত্যুর পর শাশুড়ি-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

সোমবার হরিহরপাড়ায় এসমাতারা বিবি নামে এক জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতার পরিবারের দাবি, শাশুড়ির বিবাহ--বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলেছিলেন ওই বধূ। তাই তাঁকে মারধর করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর দুই আগে গিয়েছে এসমাতারা বিবির বছর দুয়েক আগে সাজীব শেখের বিয়ে হয়। সম্প্রতি বেশ কয়েক বার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন ওই যুবতী।

মৃতার বাবা মন্টু শেখের দাবি, ‘‘শাশুড়ি পরকীয়ায় লিপ্ত। সে কথা জানতে পেরে যায় আমার মেয়ে। তাই ওকে খুন করা হয়েছে।’’ পরিবারের আর এক সদস্যের দাবি, আপত্তিকর অবস্থায় প্রতিবেশীর সঙ্গে শাশুড়িকে দেখে ফেলেছিলেন বলে ওই বধূকে খুন করা হয়েছে। মন্টু বলেন, ‘‘আমাদের বলা হয় গলায় দড়ি দিয়েছে মেয়ে। পুলিশ দেহ নিয়ে যায়। কিন্তু, দেহ দেখে আমাদের মনে হচ্ছে, মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে। জামাই, শাশুড়ি এবং ওর পরিবারের বাকিরা মিলে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’ অপরাধীদের শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। মন্টুর আরও দাবি, ‘‘শাশুড়ির কীর্তি ফাঁস হয়ে যাবে বলেই মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে।’’ এসমাতারার মা পারুলা বিবিরও একই অভিযোগ। তাঁর দাবি, ‘‘মেয়ের শাশুড়ির সঙ্গে অন্য লোকের সম্পর্ক আছে। সেটা মেয়ে বলেওছিল আমাকে। তখন মেয়েকে আমার বাড়িতে রেখে গিয়েছিল ওরা। শনিবার মেয়েকে জামাই ডেকে নিয়ে এসেছিল। তার পর সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের বলা হয়, মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।’’

Advertisement

তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালে মেয়েকে দেখতে গেলে তাঁর স্বামী, শাশুড়ি-সহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যেরা পালিয়ে যান। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাদতন্তের জন্য পাঠিয়েছে। কী ভাবে মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement