মতিরুল বিশ্বাস খুনে অভিযুক্তদের শনাক্তকরণের নির্দেশ। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম খুনে সিআইডি তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে মতিরুলের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযুক্তদের শনাক্ত করার নির্দেশও পুলিশকে দিয়েছে উচ্চ আদালত।
মতিরুল খুনে পুলিশি তদন্তে গাফিলতি হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে সিআইডি তদন্তের দাবিতে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন নিহতের স্ত্রী তথা নদিয়ার নারায়ণপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিনা খাতুন বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে তার শুনানি হয়। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, মতিরুলের দেহরক্ষী সাগর ঘোষকে দিয়ে ওই ঘটনায় ধৃতদের শনাক্ত করতে হবে। পাশাপাশি, মতিরুলের স্ত্রী এবং পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। তবে আবেদনকারীর করা সিআইডি তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত।
শুনানির শুরুতে আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী আর্জি জানান, ২৪ নভেম্বর অর্থাৎ ঘটনার দিন রাতে মতিরুলের দেহরক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে রুজু হওয়া অভিযোগের সঙ্গে মতিরুলের স্ত্রীর দায়ের করা অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে তদন্ত করতে হবে। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতি জানান, একই মামলার ক্ষেত্রে দু’টি অভিযোগ দায়ের করার আইনি বৈধতা নেই। তদন্তকারীরা আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে দাবি করে, ধৃত ৮ জন পুলিশি জেরায় মতিরুলকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। সেই সময় বিচারপতি সরকারি আইনজীবীর কাছে জানতে চান, প্রত্যক্ষদর্শীকে দিয়ে ধৃতদের শনাক্তকরণ করা হয়েছে কি না। সরকার পক্ষের আইনজীবী সদুত্তর দিতে না পারায়, বিচারপতি মতিরুলের দেহরক্ষীকে দিয়ে ধৃত ৮ জনকে শনাক্ত করার নির্দেশ দেন।