প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ৭২ ঘণ্টা পর বহরমপুরের সেই নার্সের দেহ উদ্ধার হল ভাগীরথীর জল থেকে। পরিবার শনাক্ত করার পর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১২টা নাগাদ কোদলা ঘাটে একটি মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যেই ওই তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা। তবে পুলিশের দাবি মানতে নারাজ পরিবারের লোকজন। উল্লেখ্য, ওই কোদলা ঘাট এলাকাতেই মৃতার বাড়ি।
তরুণীর পরিবারের দাবি, ভাগীরথী সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়া হলে বাড়ির কাছে কেন দেহ পাওয়া গেল? শুধু তা-ই নয়, ওই নার্স যে হস্টেলে থাকতেন, সেখানকার কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে পরিবার। তাদের প্রশ্ন, তরুণী রাতে হস্টেলে না পৌঁছলেও, কেন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি পরিবারকে জানাননি?
প্রাথমিক তদন্তের প্রেক্ষিতে পুলিশের দাবি, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এটুকু নিশ্চিত করা গিয়েছে বুধবার রাতে মৃত মহিলা একাই ছিলেন। গান্ধী কলোনির বাসিন্দারা ওই সময়ে ভাগীরথী সেতু থেকে এক জনের ঝাঁপ দেওয়ার শব্দ শুনতে পান। পুলিশ সেখানে গিয়ে মৃত তরুণীর চটিজোড়া উদ্ধার করে। স্রোতের অনুকূলে হওয়ায় মৃতদেহ ভাগীরথী সেতু থেকে কোদলাঘাট চলে গিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। যদিও পরিবারের দাবি অনুযায়ী, অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাজিদ ইকবাল জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।