বিজয়া সম্মিলনীতে সৌগত রায়। বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে। নিজস্ব চিত্র।
গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি মতুয়া সম্প্রদায়কে ভুল বুঝিয়েছিল বলে দাবি করলেন তৃণমূল নেতা সৌগত রায়। তাঁর ব্যাখ্যা, প্রচারে বলা হয়েছিল যে বিজেপিকে ভোট দিলে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন করে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচন হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। আইন পাশ করলেও বিষয়টা অতটা সহজ নয়।
বৃহস্পতিবার কল্যাণীর ঋত্বিক সদনে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের এসসি-ওবিসি সেলের উদ্যোগে বিজয়া সম্মিলনীতে এসেছিলেন সৌগত। তফসিলি ও মতুয়া অধ্যুষিত দক্ষিণ নদিয়ায় গত দুই ভোটেই বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছে তৃণমূল। সাম্প্রতিক পুরভোটে অবশ্য প্রায় একবগ্গা উল্টো ফল হয়েছে। এ বার আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে গা গরম করা শুরু হয়েছে।
নাগরিত্ব প্রসঙ্গে সৌগত এ দিন বলেন, “আমাদের মানুষের কাছে গিয়ে বলতে হবে, বিজেপি আপনাদের ভুল বুঝিয়েছে। ওরা ভুল রাস্তায় প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিল।” বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হয়েই আছে। এই সরকার বলবৎ করতে দিচ্ছে না। তবে তাড়াতাড়িই শুরু হয়ে যাবে।”
সৌগতের দাবি, “দলের কিছু লোকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। তাতে দল খারাপ হয়ে যায়নি।” তবে তাঁর সংযোজন, “যাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, আমরা দল থেকে বলছি যে তাঁদের নিজেদের রক্ষা নিজেদেরকেই করতে হবে। দল এ ব্যাপারে কোনও মাথা ঘামাবে না।” সৌগতের দাবি, “যখন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, আমার মনে হত হয়তো কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়বেন। কিন্তু অনেক বিজয়া সম্মিলনীতে গেলাম এবং দেখলাম, কোথাও কর্মী-সংখ্যা কমেনি বরং বেড়েছে।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সৌগত বলেন, “রানাঘাট সংসদীয় এলাকায় এ বার ভাল ফল করতে হবে। সংগঠন শক্তিশালী করার কাজ শুরু হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সেই কাজটা দেখছেন।” তবে পার্থসারথীর দাবি, “সৌগতদার কথা কেউ শোনে না। মতুয়ারা গত দু’টি নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে ছিল। আগামী নির্বাচনেও থাকবে।”