Student carrying Weapons

বন্দুক উঁচিয়ে ক্লাসে দুই পড়ুয়া! মুর্শিদাবাদের স্কুলে হুলস্থুল কাণ্ড, পুলিশ এসে আটক করল দু’জনকেই

শনিবার ক্লাস চলাকালীন রেজিনগরের আন্দুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির দুই ছাত্রের হাতে বন্দুক দেখতে পায় সহপাঠীরা। অভিযোগ, বন্দুক দেখিয়ে পড়ুয়াদের ভয় দেখাচ্ছিল দুই পড়ুয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

রেজিনগর শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ১২:১৩
Share:

একনলা বন্দুক হাতে সোজা ক্লাসে! — নিজস্ব চিত্র।

বন্দুক হাতে সোজা ক্লাসরুমে নবম শ্রেণির ছাত্র! আর এই ঘটনাকে ঘিরে আতঙ্ক মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার আন্দুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে ৷ বন্দুকটি আসল না নকল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও শিক্ষকদের একটি অংশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে ছাত্রের হাতে থাকা বন্দুকটি দেখে তাঁদের একনলা বন্দুক বলেই মনে হয়েছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ক্লাস চলাকালীন রেজিনগরের আন্দুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির দুই ছাত্রের হাতে বন্দুক দেখতে পায় সহপাঠীরা। অভিযোগ, বন্দুক দেখিয়ে ক্লাসের অন্য পড়ুয়াদের ভয় দেখাচ্ছিল ওই দুই পড়ুয়া। বিষয়টি শিক্ষকদের নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দুই ছাত্রের হাত থেকে বন্দুকটি ছিনিয়ে নিয়ে তাদের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। স্কুলে পৌঁছন ওই ছাত্রের বাবা। খবর পেয়ে স্কুলে চলে আসে রেজিনগর থানার পুলিশও৷

পুলিশ বন্দুকটি উদ্ধার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে দুই পড়ুয়াকে। আন্দুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের কাছ থেকে খবর পাই যে, ওদের কাছে একটি দেশি বন্দুক আছে। আমরা কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছি। পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। বন্দুক কোথা থেকে এল, কী ভাবে এল, তা তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখবেন।’’

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, পরিবারের কোনও সদস্যের কাছ থেকে বন্দুকটি তারা চেয়ে এনেছিল। সহপাঠীদের ভয় দেখাতেই এই পরিকল্পনা বলেও জানা গিয়েছে। তদন্তকারী আধিকারিক সূত্রে খবর, বন্দুকটি দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি একনলা গোত্রের। নাবালক পড়ুয়ার হাতে কী ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র এল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বন্দুকে কোনও কার্তুজ ভরা ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement