Mason

রাজমিস্ত্রি আজ কোটিপতি! লটারির টিকিট কাটতে গিয়ে ‘সর্বস্বান্ত’ হয়ে সেই লটারিতেই বাজিমাত

লটারি কাটা ছিল তাঁর নেশা। প্রচুর টাকা খরচ করেছেন। অশান্তি হত সংসারে। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে রঘুনাথগঞ্জের রাজমিস্ত্রি চাঁদ মহম্মদ বলেন, ‘‘আর কোনও দিন লটারির টিকিট কিনব না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:০২
Share:

কোটি টাকার জ্যাকপট পেয়ে আর কখনও লটারি না কাটার পণ করেছেন রাজমিস্ত্রি। —নিজস্ব চিত্র।

লটারির টিকিট কাটার নেশা এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, সর্বস্বান্ত হওয়ার জোগাড়! সেই লটারিতেই ফিরল ভাগ্য। ১ কোটি ১ লক্ষ টাকার জ্যাকপট জিতলেন পেশায় রাজমিস্ত্রি চাঁদ মহম্মদ। ৩৬ বছর বয়সি সেই দরিদ্র এখন ‘বড়লোক’।

Advertisement

স্ত্রী এবং তিন ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার চাঁদ মহম্মদের। বাড়িতে অভাব নিত্যসঙ্গী। বছর দশেক ভিন্ রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। কাজ করে যত রোজগার করতেন, তার প্রায় সমস্ত টাকাই খরচ করতেন লটারির টিকিট কিনতে। নেশা পেয়ে বসেছিল তাঁকে। অবস্থা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছয় যে, নিঃস্ব হওয়ার জোগাড় হয়েছিল। কোনও দিন কাজ না থাকলে সে দিন ধার করেই লটারির টিকিট কিনতেন। বাড়িতে এ নিয়ে প্রবল অশান্তি হত। অবশেষে এক টিকিটে কোটিপতি হলেন রাজমিস্ত্রি।

চাঁদ মহম্মদের স্ত্রী রেহেনা বিবির কথায়, ‘‘পয়সার অভাবে ছেলেমেয়ের দুধ না এলেও টিকিট কাটা বন্ধ হয়নি ওর।’’ স্বামী রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন, কিন্তু তাতেও তিরতিরে আশঙ্কায় বুক কাঁপছে গৃহিণীর। আসলে আত্মীয়স্বজন থেকে প্রতিবেশী— সবাই চাঁদ মহম্মদকে পরামর্শ দিয়েছেন, এ বার লটারির টিকিট কাটা বন্ধ হোক। কিন্তু কারও কোনও কথা কানে নেননি ওই রাজমিস্ত্রি।

Advertisement

‘কোটিপতি’ রাজমিস্ত্রিকে নিয়ে তাঁর প্রতিবেশী সাগির হোসেন বলেন, ‘‘আর যেন ও লটারির টিকিট না কাটে, তার জন্য আমরা সবাই ওকে বোঝাব। যে টাকা পাবে তাতে অন্তত একটা মুদির দোকানটা করতে বলব।’’ আর লটারির কল্যাণে সদ্য কোটিপতি চাঁদ মহম্মদ বলেন, ‘‘আর কোনও দিন লটারির টিকিট কাটব না। ছোটখাটো একটা ব্যবসা করে ছেলেমেয়েদের মানুষের মতো মানুষ করতে চাই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement