অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
ফেসবুকে আলাপ। সেই আলাপের সূত্রেই এক বিবাহিতা তরুণীকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। নবদ্বীপের ঘটনা।
এই ঘটনায় তরুণীর বাবা ওই যুবকের বিরুদ্ধে বুধবার দুপুরে নবদ্বীপ থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রানা দেবনাথ। বছর বাইশের ওই যুবকের বাড়ি নাদনঘাট থানার নিচু চাঁপাহাটিতে। তাঁর একটি মোটর গ্যারাজ আছে।
ওই তরুণীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয় কৃষ্ণনগরে। সম্প্রতি স্বামীর সঙ্গে নানা বিষয়ে মনোমালিন্য চলছিল। দম্পতির একমাত্র ছেলের বয়স আট বছর। অশান্তির কারণে এই ঘটনার দিন কতক আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে নবদ্বীপে বাপের বাড়ি চলে আসেন তিনি। সোমবার সকালে ব্যায়ামের ক্লাস থেকে ফিরে মায়ের কাছে পরোটা খেতে চান ওই তরুণী। মা পরোটা আনতে দোকানে গেলে, সেই ফাঁকে বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। বছর আঠাশের ওই তরুণী যাওয়ার সময় তাঁর আধার কার্ড, প্যান কার্ড নিয়ে গিয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন তাঁর অভিভাবকেরা।
আরও পড়ুন: রাতে বারান্দা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আদিবাসী কিশোরীকে খুন লোকপুরে
তাঁর মা বলেন, “বাড়িতে আসার পর থেকে দেখতাম, মেয়েটা সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে পড়ে আছে। এ জন্য রবিবার রাতে ওকে একটু বকেও ছিলাম। পরের দিন এই ঘটনা।” জানা গিয়েছে, রানার একটি গ্যারাজ আছে বিরহীতে। ওই যুবকের পরিবারের তরফেও নবদ্বীপ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, সোমবার বাড়ি থেকে বেরনোর আগে রানা জানিয়েছিল, দক্ষিণ ভারতে কাজে যাচ্ছে। এর ঘণ্টা খানেকের মধ্যে তরুণীর ছেলেকে নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন রানার বাড়িতে যান। তাঁদের কাছ থেকে জেনে রানাকে ফোন করা হলে সে বিষয়টি অস্বীকার করে। তারপর থেকে তার ফোন বন্ধ।