শুভদীপের মৃত্যুর পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও কেন রহস্যের কিনারা হল না, তা নিয়ে উত্তাল আইসার। শুভদীপের দেহের ময়নাতদন্তের যাতে ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়, তার দাবিও জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা।
গবেষকের মৃত্যু। —নিজস্ব চিত্র।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অব সায়েন্টিফিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইসার) ক্যাম্পাসে গবেষকের মৃত্যুর ঘটনায় দানা বাঁধছে রহস্য। রবিবার রাতে শুভদীপ রায়ের মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তা নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে সহপাঠীদের মধ্যে। পাশাপাশিই, যে রিসার্চ গাইডের বিরুদ্ধে শুভদীপের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে কেন এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন পড়ুয়ারা।
সোমবার আইসার-এর ল্যাব থেকে উদ্ধার হয়েছে শুভদীপের দেহ। পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। তাতে বলা, রিসার্চ গাইডের সহযোগিতা না পেয়েই আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন শুভদীপ। বন্ধুবান্ধবদের দাবি, রবিবার অনেক রাত পর্যন্ত ল্যাবে ছিলেন তিনি। এর পর সোমবার বেলা ১১টাতেও ল্যাবের দরজা না খোলায় ধাক্কাধাক্কি করে ঢুকে দেখা যায়, মুখে প্লাস্টিক জড়ানো অবস্থায় শুভদীপ পড়ে আছেন। সহপাঠীদের অনুমান, হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস তৈরি করে তা প্লাস্টিক প্যাকেটে ভরে তিনি শ্বাস নিয়েছেন।
শুভদীপের মৃত্যুর ঘটনায় এখনও অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তদন্তকারীদের জানতে চাইছেন, যে বিষাক্ত গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে, তার সংস্পর্শে এলেই মৃত্যু নিশ্চিত হয়। তা সত্ত্বেও কেন প্লাস্টিক দিয়ে শুভদীপের মুখ ঢাকা হয়েছিল? সহপাঠীরাও একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, গাইডের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হল না? হাইড্রোজেন সালফাইড ল্যাবে তৈরি করা হয়েছিল কি না, তা জানতে কেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হল না?
শুভদীপের মৃত্যুর পর ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও কেন রহস্যের কিনারা হল না, তা নিয়ে উত্তাল আইসার। শুভদীপের দেহের ময়নাতদন্তের যাতে ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়, তার দাবিও জানাচ্ছেন পড়ুয়ারা।