Ill

Domkal: ডোমকলে ফুচকা খেয়ে অসুস্থ বহু

ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে,  এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৪ জন রোগী চিকিৎসা করিয়েছেন ওই হাসপাতালে।

Advertisement

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস

ডোমকল শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২২ ০৬:৫১
Share:

অসুস্থ। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম

ফুচকার দোকানে গিয়ে নাতি-নাতনিরা আব্দার করেছিল, তাঁকে অন্তত একটা ফুচকা খেতেই হবে। তাদের আব্দার ফেলতে পারেননি ৭০ বছর বয়সি মইজন বিবি। কয়েকটা ফুচকা খেয়েও ফেলেন। রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রবিবার দুপুরে ওই বৃদ্ধাকে ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। তবে বেলা যত বেড়েছে, ততই বাড়তে থাকে অসুস্থের সংখ্যা। ডোমকলের সারাংপুর, গাড়াবাড়িয়া, মালতিপুর এলাকার অনেক বাসিন্দাই চিকিৎসাধীন ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ৫৪ জন রোগী চিকিৎসা করিয়েছেন ওই হাসপাতালে। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন ১৮ জন। ভর্তি করতে হয়েছে ন’ জনকে। অসুস্থরা প্রত্যেকেই একই জায়গা থেকে ফুচকা খেয়েছিলেন বলে দাবি। আজ, সোমবার ওই গ্রামে চিকিৎসকদের একটি দল যাবে নমুনা সংগ্রহ করতে।

Advertisement

বছরখানেক আগে ইসলামপুরের কাশিমনগর এলাকায় ফুচকা খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ডোমকলের সারাংপুর, গাড়াবাড়িয়া ও মালতিপুর এলাকার ওই বাসিন্দারা শনিবার বিকেলে ফুচকা খেয়েছিলেন। অসুস্থদের মধ্যে আছেন মহিলা, শিশু, কিশোর, বৃদ্ধাও। রাত থেকে অসুস্থ বোধ করেন তাঁরা। পেটে ব্যথা, বমির পাশাপাশি জ্বরও আসে কারও কারও। গাড়াবাড়িয়া গ্রামের কিশোর সেলিম মণ্ডল ডোমকল হাসপাতাল ভর্তি। তার দাবি, ‘‘সইদুলদার কাছ থেকে প্রায়ই ফুচকা কিনে খাই। আজ ভোরবেলা জ্বর আসে। মাথা ধরে ছিল। বমিও পাচ্ছিল। বেলা বাড়তে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ি।’’ যদিও সইদুল বলছেন, ‘‘পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখেই ফুচকা তৈরি করি। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসায করছি, এমন কখনও ঘটেনি। কেন এমন হল, আমিও বুঝতে পারছি না।" ডোমকলের বিএমওএইচ হুমায়ুন কবীর বলছেন, ‘‘রবিবার সন্ধ্যার পরেও অনেকে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। বেশ কয়েক জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে নির্দিষ্ট করে অসুস্থের সংখ্যাটা বলা কঠিন। আমরা ঘটনার দিকে নজর রেখেছি। কাল মেডিক্যাল টিম যাবে গ্রামে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement