প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে প্রায় চল্লিশ হাজার ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। কিন্তু তাতেও যে নেতারা অনেকেই শিক্ষা নেননি সেটা বিধানসভা-ভিত্তিক কর্মিসভায় ঘিরে আবার স্পষ্ট হয়ে গেল। কৃষ্ণগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেখানে এলেনই না। উপস্থিত থাকলেন না অনেক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও। এড়িয়ে গেলেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতিও। ফলে দলে ঐক্য ফেরানোর ক্ষেত্রে জেলা নেতৃত্ব কতটা সফল, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি হিসেবেই এই সব কর্মিসভা করছে তৃণমূল। সেখানে বুথ সভাপতি থেকে শুরু করে ব্লকের সমস্ত জনপ্রতিনিধি ও পদাধিকারীকে ডাকা হচ্ছে। উপস্থিত থাকছেন জেলা নেতারা। রবিবার হাঁসখালি সমবায় বিদ্যাপীঠ স্কুলে কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা এলাকার কর্মিসভার আয়োজন হয়েছিল। এই বিধানসভা এলাকায় কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের সাতটি ও হাঁসখালি ব্লকের আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত আছে। হাঁসখালি ব্লকের এলাকায় গোষ্ঠী কোন্দল এখনও প্রবল আকার ধারণ না করলেও কৃষ্ণগঞ্জ এলাকায় বারবার তা সামনে এসেছে। সেখানে বর্তমান ব্লক সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোষ চৌধুরীর সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিবাদ দীর্ঘ দিনের। আবার কোনও কোনও প্রাক্তন ব্লক সভাপতির সঙ্গে লক্ষ্মণবাবুর বিবাদের কথাও সকলের জানা। তার জেরে পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে অনেকেই প্রার্থী হয়েছিলেন। লোকসভা ভোটেও জেলা নেতারা তাঁদের এক ছাতার তলায় আনতে পারেননি। ফল ভুগতে হয়েছে।
ফের সামনে ভোট। এখনও কর্মিসভায় এত গরহাজিরা কেন? পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অশোক হালদারের বক্তব্য, “কো-অর্ডিনেটর হোয়াটসঅ্যাপে একটা চিঠি পাঠিয়েই দায় সেরেছেন। আর ব্লক সভাপতি তো কিছুই বলেননি। এতবর একটা কর্মসূচিতে কেউ না ডাকলে কী ভাবে আমরা যাই?” ব্লক সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোষ চৌধুরী এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে কো-অর্ডিনেটর, গত বিধানসভা উপ-নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী প্রমথরঞ্জন বসু পাল্টা বলেন, “আমি নিজে অশোকবাবুকে একাধিক বার ফোন করে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। চিঠিও দিয়েছি। তার পরেও কেন এলেন না, বুঝতে পারছি না।”এখনও কোন্দল সামাল দেওয়া না গেলে যে লোকসভা ভোটের পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই, তা অবশ্য দলের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত সকলেই জানেন।