বাড়ির ঠিক পিছনের আমবাগানে শিবমের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান এক প্রতিবেশী। —প্রতীকী চিত্র।
মাত্র ৭ মাস আগে ঘটা করে বিয়ে হয়েছিল নদিয়ার করিমপুরের বাসিন্দা শিবম মণ্ডলের। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই শিবমের সন্দেহ, স্ত্রী অন্য পুরুষে আসক্ত। পরিবারের দাবি, এ নিয়ে অশান্তিও হত দম্পতির। সোমবার সকালে বাড়ির পাশের আমবাগানে ২৫ বছরের ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ মিলল। পরিবারের দাবি, স্ত্রীর অন্য সম্পর্ক রয়েছে। এটা জানার পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগতেন শিবম। সেই চাপ থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি শিবম। আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীদের কাছে খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু কেউই বলতে পারেননি শিবম কোথায়। রবিবার সারা রাত শিবমের খোঁজ করার পর সকাল হতে পুলিশের দ্বারস্থ হয় শিবমের পরিবার। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাড়ির ঠিক পিছনের আমবাগানে শিবমের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান এক প্রতিবেশী। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শিবমকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতের আত্মীয় শ্যামল মণ্ডলের কথায়, ‘‘এটা আত্মহত্যা না কি খুন, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য তো হয়েই থাকে। পুলিশ তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটন করুক।’’ শিবমের পরিবারের অন্যান্যদের অভিযোগ, মানসিক চাপে মৃত্যুর পথ বেছে নেন যুবক।
এ নিয়ে তেহট্ট মহকুমার পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত এই রহস্যমৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে।’’