প্রতীকী ছবি
নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু পুলিশকে বারবার বলার পরেও সেরিনা বিবির (২৮) খোঁজ পাওয়া যায়নি। সোমবার সন্ধ্যায় সেরিনার দেহ পাওয়া গেল তাঁরই স্বামী কবীর শেখের ধানের জমি থেকে। গ্রামের মানুষের দাবি, কবীর আরও একটি বিয়ে করেছেন। গ্রামের বাসিন্দা মুজিবর শেখ বলেন, ‘‘সেই জন্যই তিনি সেরিনাকে খুন করেছেন। তার পরে দেহ লোপাট করতে নিজেরই ধান জমিতে পুঁতে দেন।’’ গ্রামের আর এক বাসিন্দা তামাল শেখ বলেন, ‘‘কবীরই যে সেরিনাকে খুন করেছেন, সে কথা আমরা বারবার পুলিশকে বলেছি। তবু পুলিশ কবীরের কাছ থেকে সেরিনার দেহ কোথায় রয়েছে, সে খবর নিতে পারেনি।’’ সেই ক্ষোভেই এ দিন সেরিনার দেহ পাওয়ার পরেই গ্রামের কিছু মানুষ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরও করেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, কবীরকে ২১ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছে, তার পর থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জেলার পুলিশ সুপার অজিত সিং যাদব বলেন, “পুলিশ প্রথম দিন থেকেই তদন্ত করছে। মৃতার স্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায় ওই তরুণী গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ হয়। তারপর ওই তরুণীর ভাসুর রমজান শেখ ও বাবা দুলাল শেখ খড়গ্রাম থানায় কবীর শেখ ও দু’জন মহিলা-সহ মোট ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান।
এই দিন তরুণীর বাড়ি থেকে পাঁচশো মিটার দূরে কবীরের ধানখেত থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তারপর পুলিশকে খবর দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই জমির মাটি খুঁড়ে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি প্রথম থেকেই উল্টো পথে হাঁটছিল। সেরিনার বাপের বাড়ি খড়গ্রাম থানার ইন্দ্রাণী অঞ্চলের মল্লিকপুরে। বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের।