—প্রতীকী চিত্র।
আবার মুর্শিদাবাদ জেলায় এক ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু। মৃতের নাম সুদাম ঘোষ। ৪৫ বছরের ওই প্রৌঢ় চিকিৎসা চলাকালীন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই ডেঙ্গি আক্রান্তকে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার কান্দি মহকুমা হাসপাতাল থেকে সুদাম ঘোষ নামে বছর পঁয়তাল্লিশের এক ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীকে স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। সোমবার চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের এমএসভিপি অনাদি রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘খুব খারাপ অবস্থায় ওই রোগীকে এখানে আনা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে রোগীকে বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, উৎসবের মরসুমের মধ্যে এই টানা বৃষ্টি, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
চলতি বছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যে তৃতীয় স্থানে আছে মুর্শিদাবাদ জেলা। শেষ পাওয়া সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ২১৮ জন। ডেঙ্গি সংক্রমণের পরিসংখ্যানে পিছিয়ে নেই অন্যান্য জেলাও। পড়শি জেলা নদিয়াতেই যেমন আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজার ৫১২ জন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নবান্ন থেকে জেলাশাসক এবং জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ডেঙ্গি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং রোগের সংক্রমণ আটকাতে একাধিক পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘‘জ্বর হলে ডেঙ্গি পরীক্ষা এখন বাধ্যতামূলক। সম্ভব হলে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করাতে হবে। পেটে ব্যাথা, মাথা ঘোরা, বমি হলে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’’