Beaten to death

গ্রামের ‘দখল’ কার হাতে থাকবে? দুই গোষ্ঠীর যুদ্ধে করিমপুরে খুন যুবক! গ্রেফতার দুই

পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুরুটিয়া থানার ধারা পাকসিয়া এলাকার দুই সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর অন্যতম মাথা নওশাদ ও বাইতুল্লার দীর্ঘ দিনের শত্রুতা। সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলির দখল কার হাতে থাকবে, মূলত এই নিয়ে তাদের বিবাদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

করিমপুর শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:২৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

রাতের অন্ধকারে শুনশান রাস্তায় পড়ে আছেন রক্তাক্ত এক যুবক। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। উদ্ধার করে যুবককে পাঠানো হয়েছিল করিমপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দুই সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর লড়াইয়ে খুন হয়েছেন নওশাদ শেখ নামে ওই যুবক। এই ঘটনায় ১০ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে চলছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মুরুটিয়া থানার ধারা পাকসিয়া এলাকার দুই সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর অন্যতম মাথা নওশাদ ও বাইতুল্লার দীর্ঘ দিনের শত্রুতা। সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলির দখল কার হাতে থাকবে, মূলত এই নিয়ে তাদের বিবাদ। একটি মামলায় দীর্ঘ দিন জেলবন্দি ছিল নওশাদ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেল থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে নওশাদ। সেই খবর পৌঁছয় বাইতুল্লার কাছে। পাল্টা প্রস্তুতি নিচ্ছিল সে-ও।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিল নওশাদ। আচমকা নওশাদের সামনে বাঁশ ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে ওই যুবক। এর পর জনা পনেরো দুষ্কৃতী অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারে নওশাদকে। ধারালো অস্ত্রের কোপে নওশাদ চিৎকার শুরু করলে তাকে সেখানেই ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা। খবর পৌঁছয় মুরুটিয়া থানায়। কিন্তু নওশাদকে আর বাঁচানো যায়নি। এর পর মৃতের পরিবারের তরফে মুরুটিয়া থানায় ১০ জনের নামে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃত যুবকের ভাই আসিফ শেখ বলেন, ‘‘আমার দাদাকে কারা খুন করেছে, আমরা জানি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।’’

Advertisement

এই ঘটনা প্রসঙ্গে তেহট্ট মহকুমার পুলিশ আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন,‌‘‘খুনের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement