—প্রতীকী চিত্র।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’টি খুন করলেন মুর্শিদাবাদের যুবক। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাকে কোপানোর পর অচেনা এক বৃদ্ধকেও মেরে ফেললেন তিনি। অভিযোগ, মাকে খুন করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ওই যুবক। পুলিশের তাড়া খেয়ে মুর্শিদাবাদ পেরিয়ে নদিয়ায় ঢুকে পড়েন। সেখানে একটি পাট খেতে লুকিয়ে ছিলেন। অচেনা যুবককে দেখে ফেলেন এক বৃদ্ধ। তিনি খোঁজ নিতে গেলে যুবক তাঁকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। যুবককে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের নওদা থানার বালিওয়ান গ্রাম পঞ্চায়েতের টুঙ্গি ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ মাঝি। টাকা নিয়ে বচসার জেরে বুধবার রাতে তিনি নিজের মাকে কুপিয়ে খুন করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানতে পেরেছে, অনেকের কাছ থেকে অনেক টাকা ধার নিয়েছিলেন কৃষ্ণ। সেই টাকার জন্য পাওনাদারেরা তাড়া দিচ্ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে মায়ের কাছে হাত পেতেছিলেন যুবক। কিন্তু মা রাইধনী মাঝি (৫৭) টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেই সময়েই যুবক মাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক বার কোপান বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল পুলিশ। তাদের তাড়া খেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। পালিয়ে তিনি নদিয়ার পলাশিপাড়ায় পৌঁছে যান। সেখানেই বৃহস্পতিবার লুকিয়ে ছিলেন ঘন পাটের খেতে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পলাশিপাড়ার রানিনগরের বাসিন্দা প্রলয় বিশ্বাস (৭৫) প্রতি দিনের মতো বৃহস্পতিবারও পাট খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। তিনি দেখেন, ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাট খেতে ঘাপটি মেরে বসে আছেন এক যুবক। তাঁর পরিচয় জানতে চাইলেই যুবক তাঁর উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। বৃদ্ধের চিৎকার শুনে স্থানীয়েরা ছুটে আসেন। এর পর যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশও।
পুলিশ সূত্রে খবর, পলাশিপাড়ায় বৃদ্ধকে মেরে আবার নদিয়ায় বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন যুবক। সেই সময়েই নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ সীমান্তে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পর পর দু’টি খুন করায় যুবকের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুক্রবার তাঁকে আদালতে হাজির করাবে পুলিশ।