প্রতীকী ছবি।
সকালে বাবা, মা দু’জনেই কাজে বেরিয়ে যান। সেই সময় বাড়িতে একাই থাকত নাবালিকা। সেই সুযোগ নিয়ে তাকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক প্রতিবেশী প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা। ষষ্ঠ শ্রেণির বছর চোদ্দোর নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত এখন পলাতক। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার নিরাপত্তার দিকটিও খতিয়ে দেখা হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকার পরিবার আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল নয়। বিভিন্ন সময় সাহায্যের নামে তাদের সঙ্গে প্রৌঢ়ের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, বাড়িতে যাতায়াতের সুযোগ নিয়ে মেয়েকে কয়েক মাস ধরে ধর্ষণ করছেন অভিযুক্ত। শুধু তা-ই নয়, ধর্ষণের কথা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। পরিবারের দাবি, গত সোমবারও বাড়ির অদূরে একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করেন প্রৌঢ়। তা দেখে ফেলেন প্রতিবেশীরা। অভিযুক্ত এলাকায় দাপুটে ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত হওয়া প্রাথমিক ভাবে কেউ মুখ না খুললেও মঙ্গলবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার পরিবার।
নাবালিকার মা বলেন, ‘‘আমাদের পারিবারিক অভাবের সুযোগ নিয়ে আমার মেয়েকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে! ওর সর্বোচ্চ সাজা হোক।’’ অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্বামীর ফাঁসি হওয়া উচিত বলে মনে করেন অভিযুক্তের স্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামী যদি এ কাজ করে থাকেন, তবে ওঁর ফাঁসি হোক। অন্য কোনও শাস্তির ওঁর জন্য যথেষ্ট নয়।’’