Communal harmony

Durga Puja 2021: পুজোর কাজে হাত লাগান আলতাব, ইশাদেরাও

স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সকলে একসঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। হাত লাগান পুজোর প্রস্তুতির কাজেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

পলাশিপাড়া  শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১ ০৭:০৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

পলাশিপাড়ার অভিযাত্রী ক্লাব। দুর্গাপুজোর ভিটে তৈরি থেকে প্যান্ডেলের দেখভাল— সব কিছুই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাকি সদস্যদের সঙ্গে করে চলেছেন জামাল, আলতাব, ইশাদেরা।

Advertisement

তেহট্ট মহকুমার বড় বাজেটের পুজোর মধ্যে এই ক্লাবের পুজোও নামও আসে। বড় বাজেটের প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা, থিম দেখার পাশাপাশি সম্প্রীতির বাতাবরণকে নিজের চোখে দেখতেই পুজোর ক’টা দিন সকাল-বিকেল, সন্ধ্যা-রাত সেখানে ভিড় জমান আশেপাশের গ্রামের একাধিক দর্শনার্থীরা। আর সেখানে স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সকলে একসঙ্গে পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন। হাত লাগান পুজোর প্রস্তুতির কাজেও।

পলাশিপাড়ার জিটি স্কুল মাঠে প্রত্যেক বছরের মতো এই বছরও সতেরোতম পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। ১৩ লক্ষ টাকার বাজেটের এই পুজোর থিম ‘নাগাল্যান্ড’।

Advertisement

গত বছর এই কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ১২২ জন। কিন্তু ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশে এই বছর হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে কমিটিতে যোগ দিয়েছেন অনেকে। বর্তমান সদস্য ১৩৮ জন।

সদ্য এই পুজো কমিটিতে এসেছেন ইশাদ শেখ, জামাল শেখ। তাঁরা বলেন, “খুঁটিপুজো থেকে অঞ্জলি, প্রসাদ গ্রহণ ও বিতরণ, প্রতিমা নিরঞ্জন— সব কিছুতেই সমান ভাবে সমস্ত ধর্মের সদস্যরা একই ভাবে কাজ করেন। যা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাই এই কমিটিতে এসে আমরাও দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে হাত লাগিয়েছি।”

আলতাব হোসেন বলেন, “ধর্ম তো মানবধর্ম। সেই কথা মাথায় রেখেই সবাই হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছি।”

এই কমিটির আরেক সদস্য রনি দাস বলেন, “যে কোনও কাজেই ক্লাবের সদস্যেরা সদর্থক ভূমিকা নিয়েই এগিয়ে যায়। সেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ মানা হয় না।”

আর পুজো কমিটির সভাপতি সুদীপ্ত মণ্ডল বলছেন, “সম্প্রীতি মানুষের মানুষের মধ্যে তৈরি করে বিশ্বাস। এই পুজো তার উদাহরণ।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement