প্রতীকী ছবি।
নদিয়ার হোগলবেড়িয়ায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্তকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল। পাশাপাশি, খুনের ঘটনার পর অভিযুক্তের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগে ২৫ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকালে সুন্দলপুর এলাকার চরকতলা এলাকায় দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী স্নেহা চক্রবর্তী ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে অভিযুক্ত ব্রজেন মণ্ডলের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়েই হামলা চালিয়েছেন ব্রজেন। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই যুবকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে। অবরোধও করা হয় করিমপুর-বহরমপুর রাজ্য সড়ক। পুলিশের অভিযোগ, তাদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়েছে। উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচতে শনিবারই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন ব্রজেন। হামলা এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ারও অভিযোগের ভিত্তিতেও আলাদা ভাবে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সেই মামলায় রাতেই ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। রবিবার ব্রজেন-সহ তাঁদেরও তেহট্ট আদালতে হাজির করানো হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, ‘‘পুলিশকে ইট-পাটকেল ছোড়া এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার জন্য ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪ জনকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’’