কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। ফাইল চিত্র।
কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথের জন্য রেলের সমীক্ষার বিষয়টি সামনে আসতেই কৃতিত্বের ভাগীদার হতে ঝাঁপিয়েছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সোমবার আবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র সমাজমাধ্যমে রেলের একটি চিঠি পোস্ট করেন, যাতে বলা হয়েছে যে তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই সমীক্ষার কাজ শুরু করা হচ্ছে। কিন্তু এর পরেও নিজের দাবিতে অনড় রানাঘাটের সাংসদ।
একাধিক বার স্বপ্নপূরণের প্রত্যাশা, স্বপ্নভঙ্গ, রাজনৈতিক টানাপড়েন পার করে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথের সমীক্ষার খবরে কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছিল নদিয়ার প্রান্তিক জনপদ করিমপুর। দিন কয়েক আগে করিমপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক মহুয়া ফেসবুক রেলের তরফে পাঠানো চিঠি পোস্ট করেন, যাতে বলা হয়েছে রেল সমীক্ষার কাজ শুরু করতে চলেছে। তিনিই যে তার জন্য রেলমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন, সেই চিঠিও পোস্ট করেন মহুয়া।
এর পরেই জগন্নাথ সমাজমাধ্যমে ডিআরএম শিয়ালদহকে লেখা একটি চিঠি পোস্ট করে দাবি করেন, তিনি আগেই এই রেলপথের আবেদন জানিয়েছিলেন। রেলমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলেন বলে তাঁর দাবি। মোদ্দা কথা, তাঁরই উদ্যোগে রেল সাড়া দিয়েছে বলে জগন্নাথের দাবি। যদিও কৃষ্ণনগর বা করিমপুর তাঁর সাংসদ এলাকার মধ্যে পড়ে না।
এ বার রেলের পাঠানো একটি চিঠি মহুয়া পোস্ট করেছেন যাতে লেখা রয়েছে, দু’টি বিষয়ে তিনি আবেদন করেছিলেন। যার মধ্যে একটি ছিল কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথ। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে এই বিষয়ে তারা খোঁজখবর নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। খুব দ্রুত সমীক্ষার কাজ শুরু হবে।
এর পর মঙ্গলবার জগন্নাথ ফের দাবি করেন, “উনি (মহুয়া) পুরনো চিঠি পোস্ট করলে তো হবে না! বহু আগে আমি এই নিয়ে রেল দফতরে কথা বলেছি। তার ফলে এই সিদ্ধান্ত রেল আগেই নিয়েছিল। এখন উনি কৃতিত্ব নিতে চাইছেন।”
তাঁর আরও দাবি, “জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে রেলের বহু প্রকল্প আটকে রয়েছে। আগে উনি (মহুয়া) রাজ্য সরকারকে বলে এগুলো ঠিক করুন।” তবে রাত পর্যন্ত চেষ্টা করেও মহুয়ার এ প্রসঙ্গে মহুয়ার বক্তব্য মেলেনি।