মহুয়ার নির্দেশে ছাঁটাই ব্লক কমিটিতে, ক্ষোভ

নতুন কমিটি থেকে একাধিক প্রবীণ নেতার নাম ছাঁটা হয়েছে বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর।

Advertisement

সন্দীপ পাল

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

কৃষ্ণনগরের সাংসদ তথা তৃণমূলের কৃষ্ণনগর জেলা সাংগঠনিক সভাপতি মহুয়া মৈত্র কমিটি ছোট করার এবং নিষ্ক্রিয় নেতাদের কমিটি থেকে ছাঁটাই করার কথা বলায় চিন্তায় পড়েছিলেন নাকাশিপাড়া ব্লকের নেতাকর্মীরা।

Advertisement

এমনিতেই নাকাশিপাড়ার ব্লকের মোট ১৫টি পঞ্চায়েতের মধ্যে চারটি পঞ্চয়েতের দায়িত্ব মহুয়া দিয়েছেন পলাশিপাড়ার সংগঠনকে। এর পরেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দলের একাংশের দাবি, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ-ও ক্ষুব্ধ। মহুয়ার বিরুদ্ধে জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানানো হতে পারে।

নতুন কমিটি থেকে একাধিক প্রবীণ নেতার নাম ছাঁটা হয়েছে বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর। গত বার যে কমিটিতে ৮০ জন সদস্য ছিলেন, তা কাটছাঁট করে ৩৭ জনে নামানো হয়েছে। বেশ কিছু নেতার নাম বাদ পড়েছে। সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরী সভাপতি পদও লোপ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার নাকাশিপাড়ায় এক আলোচনা সভায় এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন ব্লকের বেশ কিছু নেতা। তাঁদের মতে, বর্ষীয়ান নেতাদের এ ভাবে ছেঁটে ফেললে সাংগঠনিক অবস্থা আরও দুর্বল হতে পারে, দলীয় ঐক্যে চিড় ধরতে পারে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের খবর, জেলা থেকে ব্লক কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে প্রতি মাসে ১ ও ১৬ তারিখ ব্লক কমিটির সভা করতে হবে। এর পর ২ ও ১৭ তারিখ আঞ্চলিক কমিটির সভা করতে হবে। সভা করতে না পারলে কী হবে, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকাশিপাড়া ব্লক কমিটি গোঁ ধরে থাকায় এ বারেও সভাপতি রয়েছেন অশোক দত্ত। তবে গত বার কমিটিতে ছিলেন চারজন কার্যকারী সম্পাদক, তা এ বার কমে দুই হয়েছে। ছাঁটাই হয়েছেন পাটিকাবাড়ি অঞ্চলের গোবিন্দ মণ্ডল ও বিল্বগ্রাম অঞ্চলের কণিষ্ক চক্রবর্তী। গত বারের কমিটিতে প্রতিটি অঞ্চল থেকে অঞ্চল সভাপতি-সহ দু’জন করে প্রতিনিধি ছিলেন, তা এক জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু এই রদবদলের আগে ব্লক কমিটির সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি।

বিধায়ক কল্লোল খাঁ বলেন, ‘‘ক্ষোভ তৈরি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে উচিত ছিল, সকলের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি গঠন করা। তবে সাংগঠনিক জেলা সভাপতি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা-ই হবে। কোনও সমস্যা হলে উনিই যখন দেখবেন, সেখানে আমার আর কী-ই বা বলার থাকতে পারে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement