—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে গভীর রাত পর্যন্ত উঁচু আওয়াজে মাইক বাজছে। দিনের বেলায় অনুষ্ঠান বাড়ি, পিকনিক থেকে মাইক বাজানো হচ্ছে। তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বেশি দেরি নেই। শেষ মুহূর্তে পড়া ঝালিয়ে নিতে ব্যস্ত পরীক্ষার্থীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর শেষে পিকনিক জমজমাট করতে চলছে পাল্লা দিয়ে মাইক আর ডিজ়ে বাজানো। বাদ নেই অনুষ্ঠান বাড়িও। অভিভাবকদের একাংশের দাবি, মাইকের দাপটে কানে তালা লাগার জোগাড়। পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি তো হচ্ছেই, বাড়ির বয়স্ক মানুষদের নিয়েও সমস্যা পড়তে হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার আগে এমন শব্দ তাণ্ডবে কেন লাগাম পড়ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।
শিকারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপক সাহা বলেন, ‘‘পরীক্ষার আগে মাইকের শব্দে পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা লাটে উঠছে। গভীর রাত পর্যন্ত মাইক চললে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’’
করিমপুর লক্ষ্মীপাড়ার বাসিন্দা দেবজ্যোতি কর্মকার বলেন, ‘‘মাইকের দাপট দিন দিন বেড়ে চলেছে। জল বিক্রি থেকে শুরু করে কোথায় কোন দিন ডাক্তারবাবু বসবেন তা নিয়েও প্রচার চলছে। স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মাইক বাজানোর উপরে বিধিনিষেধ প্রয়োজন।’’
তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘মাইক বাজানো নিয়ে পরীক্ষার্থীদের যদি কোনও সমস্যা হয়, তা হলে তারা যেন সরাসরি স্থানীয় থানাকে ফোন করে। পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’