জমি দিচ্ছে পূর্ত দফতর

অবশেষে দমকল কেন্দ্র জঙ্গিপুরে

বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে দমকল কেন্দ্র পাচ্ছে জঙ্গিপুর। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে নতুন থানা ভবন ও বাসডিপোও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০১:২৯
Share:

শুরু জমি মাপজোকের কাজ। —নিজস্ব চিত্র।

বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে দমকল কেন্দ্র পাচ্ছে জঙ্গিপুর। পাশাপাশি তৈরি হচ্ছে নতুন থানা ভবন ও বাসডিপোও।

Advertisement

ইতিমধ্যেই জমির বাছাই পর্ব শেষ করে মাপজোকও শেষ হয়ে গিয়েছে।

ধুলিয়ান দমকল কেন্দ্রের আধিকারিক বিষ্ণুপদ রায় জানান, দমকল কেন্দ্র গড়তে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া উমরপুরে ৯১ শতক জমি দিচ্ছে পূর্ত দফতর। সেই জমির পাশে তৈরি হবে সরকারি বাসডিপো।

Advertisement

আর থানার নতুন ভবন গড়তে শহরের বাইরে প্রতাপপুর কলোনির চরকতলায় জমি বাছা হয়েছে।

গত ২৭ অক্টোবর জমি দেখার কাজ শেষ হয়েছে। পূর্ত সড়ক, দমকল সহ-বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা জমি দেখে হস্তান্তরের জন্য সবুজ সংকেত দেন।

পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতাপপুরের জমিটি পেতে স্বরাষ্ট্র দফতরেও আবেদন করা হয়েছে। আর উমরপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই প্রায় ৬ একর জমি রয়েছে পূর্ত দফতরের। সেখানেই ৯১ শতক জমিতে তৈরি হবে দমকল কেন্দ্র।

বাকি প্রায় সাড়ে ৪ একর জমি পরিবহণ দফতর পাবে। যেহেতু এই বাসডিপোটি তিনটি পরিবহণ সংস্থাই ব্যবহার করবে তাই একটু বেশি জমি লাগবে জানা গিয়েছে।

প্রায় ৪০ বছর ধরে চেষ্টা চলছে জঙ্গিপুরে একটি দমকল কেন্দ্র তৈরির। কিন্তু জমির অভাবে অনুমোদন পেয়েও তা তৈরি করা যায়নি। অথচ বহরমপুরের পরেই সবচেয়ে বড় মহকুমা শহর জঙ্গিপুর।

জেলার লোকসংখ্যা সব মিলিয়ে ৭৫ লক্ষ। কিন্তু দমকলের সংখ্যা ৩টি। অথচ পড়শি জেলা নদিয়ায় লোক সংখ্যা ৫৩ লক্ষ হলেও দমকল কেন্দ্র রয়েছে ছয়টি। বীরভূমে ৩৫ লক্ষ লোকের জন্য রয়েছে ৩টি দমকল কেন্দ্র!

এ দিকে, জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় , রঘুনাথগঞ্জ থানা হওয়ায় যাতায়াতে যেমন অসুবিধে হয়, তেমনই থানা চত্বরে গাড়ি ও আটক মালপত্র রাখার সমস্যা হচ্ছে। আবাসন না থাকায় পুলিশকর্মীরাও থানার কাছাকাছি থাকতে পারেন না।

তাই বর্তমান থানাটিকে ফাঁড়ি হিসেবে চালু রেখে প্রতাপপুরে চরকমাঠের প্রায় ৩ একর জমিতে গড়া হবে নতুন থানা। পুলিশ কর্মীদের আবাসনও হবে সেখানেই। পাশেই আরও সরকারি জমি রয়েছে। দরকারে সে জমিও কাজে লাগানো হবে।

উচ্চ সড়ক ভুক্তির বহরমপুর ১ নম্বর ডিভিসনের এজগিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র শুভঙ্কর মাঝি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে ওই দু’ই জমিতে রঘুনাথগঞ্জ থানা, দমকল ও সরকারি বাসডিপো হবে। সেই মতো সরকারি প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।”

৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে প্রতিদিন কয়েক শো সরকারি বাস যাতায়াত করে। কিন্তু ডিপো না থাকায় রাস্তায় বাস দাঁড়িয়ে থাকে। এর ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে।

মাস চারেক আগে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সরকারি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে। মারা যান এক বাস চালক।

পূর্ত সড়ক দফতরের সহকারি ইঞ্জিনিয়র অশোক সরকার বলেন, “গত সপ্তাহে পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। খুব শীঘ্রই জমিগুলি হস্তান্তর করার চেষ্টা হচ্ছে।”

দমকলের আধিকারিক বলেন, “উমরপুরের জমিটি পছন্দ হয়েছে। জমির পরিমাণ একটু কম হলেও দমকল কেন্দ্র গড়তে কোনও বাধা নেই। বরং পাশেই জাতীয় সড়ক এবং জলের ব্যবস্থা থাকায় কাজেরও সুবিধে হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement