শান্তনুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মহুয়া

শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার আগে দলের নেতা ও বিধায়কদের পাশে বসিয়ে মহুয়া দাবি করেন, “আমি জিতছিই। এখন ওরাই ঠিক করুক, কে দ্বিতীয় হবে আর কে তৃতীয়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:২৭
Share:

মনোনয়ন দিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। নীচে, মনোনয়ন জমা দিলেন রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী রূপালী বিশ্বাস। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য ও প্রণব দেবনাথ

বিজেপি ও সিপিএমের প্রার্থী বলছেন, তাঁদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। কোনও-কোনও সমীক্ষা কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে দৌড়ে এগিয়ে রাখছে বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে। কিন্তু মহুয়া নিজে বিজেপিকে আমল দিতে রাজি নন, অন্তত প্রকাশ্যে। বরং সিপিএম প্রার্থীর গুণগান গাইছেন।

Advertisement

শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার আগে দলের নেতা ও বিধায়কদের পাশে বসিয়ে মহুয়া দাবি করেন, “আমি জিতছিই। এখন ওরাই ঠিক করুক, কে দ্বিতীয় হবে আর কে তৃতীয়।’’ সেই সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, “তবে আমি মনে করি সিপিএমের যিনি আছেন, তিনি সংযত, রুচিশীল, প্রতিষ্ঠিত, শিক্ষিত মানুষ। তিনি আগের বারও অনেক ভোট পেয়েছিলেন। তাঁর প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে।” সিপিএমকেই যে তিনি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছেন, তা-ও তিনি এর আগে জানিয়েছিলেন।

যে কেন্দ্রে দীর্ঘদিন বিজেপির একটা ভাল পরিমাণ ভোট রয়েছে, সাম্প্রতিক কালে বিজেপি যথেষ্ট শক্তিবৃদ্ধিও করেছে, বরং বামেরাই ক্ষীয়মাণ, সেখানে মহুয়া সিপিএম প্রার্থীকে এমন ঢালাও সার্টিফিকেট দিচ্ছেন কেন? বিরোধীদের একাংশের মতে, তৃণমূল আসলে বিজেপির উত্থানে ভয় পাচ্ছে, সেই কারণেই তাদের ছোট করে দেখানোর এই মরিয়া চেষ্টা। মহুয়া সিপিএমকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছেন যাতে তৃণমূল-বিরোধী ভোটারদের একাংশ তাদের উপরে আস্থা রাখেন। সিপিএম প্রার্থী বেশি ভোট টানলে কাটাকাটির অঙ্কে মহুয়া সহজেই জিতে বেরিয়ে যাবেন।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিরোধীরা অবশ্য বিষয়টিকে এ রকম ব্যক্তির স্তরে নামিয়ে নিতে আসতে রাজি নন। বিজেপির কল্যাণ চৌবে বলেন, “আমার লড়াইটা ব্যক্তি মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে নয়, তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ওরা টানা দু’বার এই কেন্দ্রে জিতেছে। তাই তাদের প্রার্থীই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, তিনি কে সেটা বড় কথা নয়।” কিন্তু মহুয়া যে সিপিএম প্রার্থীকে প্রশংসা করে তাঁকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বলে চিহ্নিত করছেন? কল্যাণ বলেন, “সেটা উনি বলতেই পারেন। গত বছর তো সিপিএমই দ্বিতীয় হয়েছিল।”

সিপিএমের প্রার্থী শান্তনু ঝা-ও ব্যক্তি নয়, মতাদর্শের লড়াইটাকেই বড় করে দেখছেন। তাঁর মতে, “কর্পোরেটরা গোটাটা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। আমাদের লড়াই তাদের বিরুদ্ধে। তারাই ঠিক করে দিচ্ছে, আমাদের বিরুদ্ধে কে বেশি শক্তশালী। এখানে যেমন মহুয়া মৈত্র।”

প্রার্থীরা যে যার মতো করে নিজের কোলে ঝোল টানছেন। ভোট কাটার লড়াইয়ে গড় দখলের প্যাঁচপয়জারটাই আপাতত বড় কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement