তিনি এখানে প্রার্থী নন। কিন্তু সব চেয়ে গুরুত্ব পেলেন তিনিই। সোমবার বিকেলে হরিহরপাড়ার সভায় বক্তব্য রাখার সময়ে জেলার তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী নিশানা করেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অধীর চৌধুরীকে। এ দিন তিনি মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের প্রার্থী আবু তাহের খানের হয়ে প্রচার চালান।ওই উপলক্ষে হরিহরপাড়া বাজার লাগোয়া ফুটবল মাঠে সভা হয়।
সেখানে বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘কংগ্রেস ও সিপিএম কখন বন্ধু হয়, কেউ জানে না। তবে এখন বন্ধু নয়। এখানকার কংগ্রেস, বিজেপি প্রার্থী সরবরাহ করেছে। কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী তাকে বলেছে হুমায়ুন বিজেপিতে তুই দাঁড়িয়ে পড়। পরে তোকে কংগ্রেসে নিয়ে কিছু একটা করে দেওয়া হবে। গট আপ ম্যাচ। ম্যাচ ফিক্সিং চলছে। কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন প্রমাণিত। বিজেপির যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেও তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ। এই যোগী আদিত্যনাথের বাড়ি গিয়ে আসন পেতে, হাঁটু গেড়ে লাঞ্চ সেরে এসেছেন। ফলে ধর্মনিরপেক্ষ তৃণমূলকে ভোট দিন।’’
তিনি জানান, আপনারা গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ তৃণমূলকে দিয়েছেন। হরিহরপাড়ার বিধায়কও তৃণমূলের। এবার লোকসভার আসনে আবু তাহেরকে ভোট দেওয়ার আহ্বান করেন তিনি।
এ দিন কয়েক ঘণ্টার সফরে মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে এসে শুভেন্দু অধিকারী বহরমপুর, হরিহরপাড়া ও সুতিতে সভা করেন। এ দিন সুতিতে এসে জঙ্গিপুরের বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে ‘হার্মাদ’ বলে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিকেলে সুতির ছাবঘাটি স্কুল মাঠে দলীয় প্রচার সভায়
এসেছিলেন শুভেন্দু।
তিনি বলেন, “এখানকার কংগ্রেস সাংসদ নাগপুরে আরএসএসের সঙ্গে কথা বলে দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে এক হার্মাদকে বিজেপির প্রার্থী করেছে। জঙ্গিপুরের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দেওয়ালে একজনের নাম লেখা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখানকার কংগ্রেস প্রার্থী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় এখানে বিজেপির প্রার্থী ঠিক করে দিয়েছেন। কংগ্রেস এখন গরুর গাড়ির হেডলাইট হয়ে গিয়েছে, সিপিএম সাইন বোর্ড পার্টিতে পরিণত হয়েছে।’’
অভিযোগ উড়িয়ে মাফুজা খাতুন বলেন, ‘‘যুক্তির খাতিরে আরএসএস ও অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে যদি ধরেও নেওয়া হয়, তবে সেই আলোচনা শুভেন্দু অধিকারী জানলেন কী করে? তার মানে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগেই শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির দরজায় লাইন দিয়েছেন।’’ তাঁকে ‘হার্মাদ’ বলায় মাফুজাও শুভেন্দুকে পাল্টা ‘হার্মাদ’ বলেন। মাফুজা বলেন, ‘‘শুভেন্দু তৃণমূলের হার্মাদ।’’