আহত বুথ কংগ্রেস নেতা। দেখতে হাসপাতালে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র
দলের এক কর্মীকে মারধোরের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন জঙ্গিপুরের কংগ্রেস সাংসদ অভিজিত মুখোপাধ্যায়।
তাঁর অভিযোগ, গ্রামে গ্রামে দেওয়াল লিখতে বাধা দেওয়া হচ্ছে কর্মীদের। হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সোমবার রাতে তৃণমূলের কর্মীদের মারধোরে গুরুতর আহত কংগ্রেস কর্মীকে রাতেই ভর্তি করা হয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে।
সোমবার সম্মতিনগর এলাকায় কংগ্রেসের হয়ে দেওয়াল লিখন করছিলেন রঘুনাথগঞ্জ ২ ব্লকের সম্মতিনগরে কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ফড়িং শেখ। ফড়িংয়ের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা তাকে বার বার দেওয়াল লিখতে নিষেধ করেন। হুমকি দেন। তবু দেওয়াল লেখা শেষ করে রাত ১০টা নাগাদ যখন তিনি সম্মতিনগর বাজারে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে যান, তখনই তার উপর চড়াও হয় জনা কয়েক তৃণমূল কর্মী। লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক পেটানো হয়। পঞ্চায়েত সমিতির এক তৃণমূল সদস্যের নেতৃত্বেই এই হামলা চালানো হয় বলে তার অভিযোগ। রাতেই চকপাড়া গ্রামে তার বাড়ির লোকজন তাকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে দেখতে হাসপাতালে যান অভিজিত মুখোপাধ্যায়। সেখানেই দলীয় কর্মীকে মারধোরের ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বলছেন, “এই হামলা নিয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনা জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনকেও।”
তৃণমূল অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ মানতে চান নি। তৃণমূলের জঙ্গিপুর লোকসভা নির্বাচন পরিচালন কমিটির আহ্বায়ক ও দলের মহকুমা সভাপতি বিকাশ নন্দ বলছেন, “সব কিছুর সঙ্গে তৃণমূলকে জড়িয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে বিরোধীদের।’’ তাঁর অভিযোগ, জঙ্গিপুরে কংগ্রেসের পায়ের তলায় মাটি নেই দেখে হতাশা থেকে এই অভিযোগ তুলছেন। এমনকি ওই কংগ্রেস কর্মী প্রহৃতের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ব্যক্তিগত বিবাদ থেকেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তৃণমূল বা নির্বাচনের সঙ্গে ওই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই বলেও বিকাশ নন্দ জানান।