মন্টুর বাবা ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন ভোট দিতে। ব্যালট পেপার দেওয়ার আগে পোলিং অফিসার তাঁর হাতে কালি লাগিয়ে দিলেন।
ঠিক সেই সময়ে মন্টুর বাবা অফিসারকে জিজ্ঞেস করলেন— স্যর এই কালি কি সাবান দিলে উঠে যাবে?
— না।
— তা হলে শ্যাম্পুতে তো যাবে?
— না। এটা সহজে মোছার নয়!
এ বার মন্টুর বাবা আরও একটু নরম গলায় জিজ্ঞেস করেন, তা হলে এই কালির দাগ কবে যাবে, স্যর?
স্যর এ বার বিরক্ত, ‘আগামী ভোট পর্যন্ত থাকবে এটা। চলবে?’
মন্টুর বাবা এ বার খুশিতে পোলিং অফিসারের হাত জড়িয়ে ধরলেন, ‘ও স্যর, দয়া করে আমাকে এই কালি এক শিশি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। নইলে কোন কোম্পানির কালি তার নামটা অন্তত বলে দেন!’
— পাগল নাকি! এই কালি দিয়ে করবেনটা কী আপনি?
—স্যর, যত দামি কলপই দিই না কেন, চুলে ১৫ দিনের বেশি থাকে না। তাই এ বার থেকে এটাই চুলে লাগাব। এক্কেবারে পাঁচ বছরের জন্য নিশ্চিন্তি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ভোট মরসুমে ভাইরাল হয়েছে মন্টুর বাবার কালি-কাহিনীও। সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্টুর বাবার খোঁজ করেছেন অনেকে। কেউ কেউ মন্টুর বাবাকে দেখতেও চেয়েছেন। এমনকি কোথায় গেলে মন্টুর বাবার দেখা মিলবে, সে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন কেউ কেউ।
নব্বই দশকের মাঝামাঝি কলেজ পড়ুয়া তরুণ-তরুণীদের মুখের কথা হয়ে গিয়েছিল অঞ্জন দত্তের বেলা বোস। যার শুরু— ‘চাকরিটা আমি পেয়ে গেছি, বেলা শুনছ?’’ এখন বঙ্গের ভোট রঙ্গে তা হয়ে গিয়েছে—২৪৪১১৩৯/ হ্যালো বেলা/বিয়ে তুমি করে ফেলো/ বাজারে কোনও চাকরি নেই...।’’
একই ভাবে ঘুরছে চন্দ্রিল ভট্টাচার্যের লেখা একটি বড় লেখার কয়েকটি লাইন। যেখানে লেখা রয়েছে—‘গরু যদি আমাদের মা হয়, মোষ নির্ঘাৎ বড়জ্যাঠা। ছাগল ছোটকাকা। মুরগি দূর সম্পর্কের বড়পিসি।’
পশুপাখির সঙ্গে মানুষের নিবিড় আত্মীয়তার এমন সরস মন্তব্যও ঘুরছে মোবাইলে মোবাইলে।