মৃত লিপিকা বিশ্বাস। — নিজস্ব চিত্র।
ছাত্রী খুনে অভিযুক্ত সুজিত বিশ্বাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকালে গাংনাপুর থানার গোপীনগরে বাঁশবাগানে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন এলাকার মানুষ। তার বাড়ি চাকদহ থানার খামারপাড়া এলাকায়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। গত বুধবার সুজিতের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নিহত ছাত্রী লিপিকা মণ্ডলের কাকা।
চাকদহ থানার খামারপাড়া গ্রামে বাড়ির কাছে বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের ছাত্রী বছর আঠারোর লিপিকা মণ্ডলকে খুন করার অভিযোগ ছিল সুজিতের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে সে এলাকা ছাড়া ছিল।
পুলিশ সুত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে ঘাস নষ্ট করার এক ধরনের ওষুধ পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ওই ওষুধ খাওয়ার পর সুজিত গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
গত বুধবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে মাঠে গিয়েছিল লিপিকা। অভিযোগ, তার মায়ের সঙ্গে সুজিতের সম্পর্ক ছিল। তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল লিপিকা। তাই তাকে সরিয়ে দিতে খুন করে সুজিত। তার পর পালিয়ে যায়। এ দিন খামারপাড়া থেকে ১ কিলোমিটার দূরে রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের দেবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপীনগর এলাকায় তাকে গাছের সঙ্গে ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।