প্রতীকী ছবি
গত পুর-ভোটের হিসেব এখনও জিইয়ে রেখেছে আশা। যার জেরে জোর গলায় জয়ী আসনে তারাই দেবে প্রার্থী এমনই দাবি জানিয়ে আসছে বামেরা। তবে বাম-কংগ্রেস জোট হোক চাই না হোক, সে জোটে শামিল হচ্ছে না এসইউসি।
গত নির্বাচনে ১৯ আসনের জঙ্গিপুর পুরসভায় ১৪টি আসনে জয়ী হয়েছিল বামেরা। ৫টি পেয়েছিল কংগ্রেস। সেই সূত্র মেনেই আসন সমঝোতা চাইছে বামেরা। কংগ্রেসের দাবি, ২০১৫ সালের পুর নির্বাচনের সময়ে তাদের যা শক্তি ছিল তা যেন অনেকটাই ক্ষয়িষ্ণু, মেনে নিচ্ছে বাম নেতৃত্ব।
আর সেই সুযোগে সমান সমান আসনে লড়াইয়ের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। বাম ও কংগ্রেসের স্থানীয় নেতারা ফের বৈঠকে বসছেন সোমবার। জঙ্গিপুর শহর কংগ্রেসের সভাপতি মোহন মাহাতোর কথায়, “বামেরা তাদের ১৪টা জেতা আসনের দাবি করেছে। তা হলে কংগ্রেসের জেতা আসন থাকে ৫টি। কিন্তু বাস্তব অবস্থায় বামেদের সে শক্তি আর নেই। আমরা তাই সমান সংখ্যক আসনে লড়তে চাইছি।’’
একই কথা জঙ্গিপুর মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি হাসানুজ্জামানের। তিনি অবশ্য সমঝোতা নিয়ে আশাবাদী। এদিন তিনি বলেন, “বামেরা ১৪টিতে জিতলেও অনেক জল বেরিয়ে গিয়েছে। তাই জেতা আসন দেখে জঙ্গিপুরে সমঝোতা সম্ভব আর কোনওমতে নয়। রাজনীতিতে বাস্তব অবস্থাটাই বিবেচ্য বলে মনে করি। তৃণমূলকে হারাতে এসইউসিকেও বলা হয়েছে, সোমবার ফের বসব বামেদের সঙ্গে।’’
সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহরায় অবশ্য বলছেন, “দু’টি দলই আন্তরিক ভাবে চায় আসন সমঝোতা হোক। কর্মীরাও সেটাই চায়। সোমবার আলোচনায় বসে সমঝোতা সূত্র বেরোবে আশা করি।’’
তবে এসইউসির বর্তমান কাউন্সিলার অনুরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কংগ্রেস ও বামেদের জোটে আমরা নেই। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ বারও প্রার্থী দেবে দল। সেই সঙ্গে প্রার্থী দেওয়া হবে ৮ নম্বর ওয়ার্ড ধনপতনগরেও।”