প্রতীকী ছবি।
তিন শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল তাদের গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনটি শিশুর বাড়ির লোকজন ওই যুবকের বিরুদ্ধে লালগোলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর তেইশের অভিযুক্ত ওই গৃহশিক্ষক লালগোলার হরিপুরের বাসিন্দা। লালগোলা কলেজ থেকে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা শেষ করার পর সে প্রাইভেট টিউশনি শুরু করেছিল। কিছুদিনের মধ্যেই টিউশনিতে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, এলাকার বাচ্চা ছেলেমেয়েরা তার কাছে পড়তে যায়। দ্বিতীয় শ্রেণির ওই তিন পড়ুয়াও তার বাড়িতেই পড়তে যেত। তাদের সঙ্গেই আরও চারটি শিশু পড়তে যেত। প্রতিদিন সন্ধ্যায় বাড়িতেই ওই শিশুদের পড়াত অভিযুক্ত। ওই শিশুকন্যাদের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই ওই যুবক তিনটি শিশুর উপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিল। ওই কথা পাছে বাচ্চারা বাড়িতে জানায়, সেই জন্য সে ভয় দেখাত বলেও অভিযোগ। একটি শিশুর মা শুক্রবার বলেন, ‘‘গত মঙ্গলবার আমার সাত বছরের মেয়ে কিছুতেই পড়তে যেতে চাইছিল না। আমি জোরাজুরি শুরু করলে ও কাঁদতে শুরু করে দেয়। পড়তে না যাওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করায় ও সব ঘটনা আমায় খুলে বলে। আমার স্বামী বাড়িতে থাকেন না। ভিন রাজ্যে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়েছেন। আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে আলোচনা করলে তাঁরা পুলিশকে সব জানানোর পরামর্শ দেন।’’
আরেক শিশুর মায়ের দাবি, প্রথমে ভয়ে নির্যাতনের কথা জানাতে সাহসই পাচ্ছিল না তাঁর মেয়ে। পরে তাকে অভয় দিলে সে কাঁদতে কাঁদতে সব কথা জানায়। মঙ্গলবার রাতেই তিন শিশুর বাড়ির লোকজন ওই যুবকের বাড়িতে যান। তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত যুবক তাঁদের পাল্টা হুমকি দেয়। থানায় গেলে সে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ। দু’পক্ষের বচসাও হয়। এরপর বুধবার সকাল হতেই পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই যুবক।
ঘটনা নিয়ে লালগোলা থানার ওসি সৌম্য দে বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ওই তিন শিশুকন্যাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।’’ প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগে বহরমপুরেও এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তার মায়ের বন্ধুর বিরুদ্ধে।