Crime

শিশুর মুখে অ্যাসিড, ধৃত জেঠিমা

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রবিবার রাতে ঠাকুমার কোলে ছিল শিশুটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২০ ০৬:৩৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

মায়ের সঙ্গে চলছিল ঠান্ডা লড়াই। আর তার জেরেই ২৭ দিনের শিশুকে শৌচাগার পরিষ্কার করার অ্যাসিড খাইয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল জেঠিমাকে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম পার্বতী রায়। মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার ঠাকুরতলা এলাকার বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা দিয়েছে, শিশুটির মা নমিতার পিসতুতো দিদি ধৃত পার্বতী। বাপের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটে। বছর তিনেক আগে নমিতার ভাসুর কৈলাসের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পার্বতীর। সেই বিয়ের আসরেই কৈলাসের ভাই পিন্টুর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় নমিতার। বছর দেড়েক আগে তাদেরও বিয়ে হয়। কিন্তু পার্বতীর সেই বিয়েতে মত ছিল না। তা নিয়ে পার্বতী ও নমিতার বাপের বাড়ির মধ্যেও মনোমালিন্য হচ্ছিল, যদিও তা কখনও সে ভাবে প্রকাশ্যে আসেনি। নদিয়া জেলা পুলিশের তদন্তকারী অফিসারদের দাবি, সেই ঠান্ডা লড়াইয়ের জেরেই সে শিশুটিকে প্রায় ১০ মিলিলিটার অ্যাসিড খাইয়ে দেয় বলে জেরায় পার্বতী কবুল করেছে। এ দিন কৃষ্ণনগর আদাসতে তোলা হলে তাকে চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, রবিবার রাতে ঠাকুমার কোলে ছিল শিশুটি। পার্বতী তাঁর কাছ থেকে তাকে নিয়ে নিজের ঘরে চলে যায়। খানিক পরে শিশুটি জোরে কেঁদে উঠলে পার্বতী তাকে আবার ঠাকুমার কাছে দিয়ে যায়। কিন্তু শিশুটি ককিয়ে কেঁদে যেতে থাকায় তার বাবা-মা ছুটে আসেন। বাবার কোলেই রক্তবমি করে শিশুটি। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরই মধ্যে বাড়ির লোকজন এবং পড়শিরা পার্বতীকে চেপে ধরেন। পুলিশের দাবি, তখনই পার্বতী অ্যাসিড খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে। জেরার মুখে সে জানিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগেও এক বার সে শিশুটিকে শৌচাগার পরিষ্কার করার মিউরিয়েটিক অ্যাসিড খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি।

Advertisement

পুলিস জানায়, এ দিন ঘরের ভিতর থেকে সেই অ্যাসিডের বোতল বার করে দিয়েছে পার্বতী। যে প্লাস্টিকের ড্রপারে করে অ্যাসিড খাওয়ানো হয়েছিল, তা-ও ঘরের পাশে কচুবনের ভিতর থেকে বার করে দেয় সে। পিন্টু বলেন, “বৌদি আর তার বাপের বাড়ির লোকজন আমাদের বিয়েটা মানতে পারেনি। কিন্তু তার জন্য যে এত বড় ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, ভাবতে পারিনি।” চেষ্টা করেও পার্বতীর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement