আইনের প্রচারে বাড়িতে বিজেপি

দলের নেতাদের অবশ্য দাবি, ২৩ ডিসেম্বর কলকাতায় মহামিছিলে লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এখন ব্যস্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০২
Share:

প্রতীকী ছবি।

নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে বাড়ি-বাড়ি যাবে বিজেপি। সাধারণ মানুষকে বোঝাবে এই আইনের সুফল। বিরোধীদের আন্দোলনের মোকাবিলায় এই পাল্টা প্রচারের নীতি নিয়েছে বিজেপি। দলীয় সূত্রের খবর, নদিয়ায় কিছু দিনের মধ্যেই মণ্ডল, অঞ্চলের পাশাপাশি একেবারে তৃণমূল স্তরে নেমে প্রচার শুরু করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বুথ স্তরের কর্মীদের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এই কর্মীরাই তার পর পৌঁছে যাবেন নিজ-নিজ এলাকার বাড়ি-বাড়ি। বোঝাবেন নাগরিকত্ব আইনের সুফল।

Advertisement

সংসদে এই বিল পেশের দিন থেকেই রাস্তায় নেমেছে বিরোধীরা। মিটিং-মিছিল-বিক্ষোভ চলছে প্রায় সর্বত্র। সেখানে বুধবার হাঁসখালিতে সাংসদ জগন্নাথ সরকারের নেতৃত্বে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতে একটা সভার আয়োজন ছাড়া জেলায় তেমন কোনও সক্রিয় প্রচারে বিজেপিকে দেখা যায়নি এখনও। দলের নেতাদের অবশ্য দাবি, ২৩ ডিসেম্বর কলকাতায় মহামিছিলে লোক নিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এখন ব্যস্ত। তার পর নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে সাংগঠনিক ভাবে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হবে।

দলের একটা অংশের দাবি, দিন কয়েক আগেই নদিয়ায় দুই সাংগঠনিক জেলায় সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে। নতুন সভাপতিরা এখনও সে ভাবে সবটা বুঝে উঠতে পারেননি। তাই পথে নামতে একটু সময় লাগছে। কিছু দিনের মধ্যেই প্রথমে মণ্ডল স্তরে কর্মসূচি বাস্তবায়িত করা হবে। তার পর অঞ্চল স্তরে একই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার পরে দুই সাংগঠনিক জেলা থেকে কেন্দ্রীয় ভাবে মিটিং-মিছিলের আয়োজন করা হবে। এরই মধ্যে মণ্ডল, অঞ্চল ও বুথ স্তরের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত থাকবেন প্রদেশ নেতারাও। নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে তাঁরা মানুষের কাছে ঠিক কী-কী বলবেন, সেই বিষয়ে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। লিফলেটও ছাপানো হবে। নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আশুতোষ পাল বলছেন, “২৩ ডিসেম্বরের মহামিছিলের পর আমরা জেলায় বুথ স্তর থেকে কর্মসূচি নেব।” আর নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী বলছেন, “নানা ভাবে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে নাগরিকত্ব আইনের সঠিক

Advertisement

প্রতিপাদ্য বোঝাবেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement