সরকারি জমি থেকে দখলদার সরানো না হওয়ায় শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মল্লিকা চেল্লুর মন্তব্য করেন, ‘‘সরকারি অফিসারের নিশ্চয়ই কায়েমি কোনও স্বার্থ রয়েছে।’’ নদিয়ার তেহট্টে একটি প্রাথমিক স্কুল ও তার লাগোয়া সরকারি জমি থেকে দখলদার সরানো সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় প্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ৮ অগস্টের মধ্যে দখলদার সরিয়ে আদালতকে জানাতে হবে। তা না হলে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত ব্যবস্থা নেবে। থানারপাড়া গঙ্গা স্মৃতি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এলাকার বাসিন্দা আব্দুল গণি-সহ জনা কয়েক ব্যক্তির অভিযোগ, স্কুলের ও তার লাগোয়া সরকারি জমিতে একদল দখলদার দোকান, বাড়ি-ঘর তৈরি করে ফেলেছে। জমি দখলমুক্ত করার আবেদন জানিয়ে তাঁরা ২০১৪ সালে মামলা করেন। তাঁদের আইনজীবী মানসকুমার দাস জানান, ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর নির্দেশ দেয় জমি দখলমুক্ত করতে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আদালত পূর্ত দফতরকে নির্দেশ দেয়, জমিতে দখলদার রয়েছে কি না তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে। ৯ ফেব্রুয়ারি পূর্ত দফতর জানায় জমি দখল হয়েই রয়েছে। রিপোর্ট পেয়ে দখলদার হঠাতে নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সরকারি কৌঁসুলি ভাস্কর বৈশ্য আদালতের কাছে আবেদন করেন, জমি দখলমুক্ত করতে প্রশাসনকে আরও সময় দিতে। তা শুনে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘ছ’মাসেও সময় পেলেন না? এখন বলছেন দখলদারদের নোটিস পাঠানো হয়েছে!’’ আদালতে হাজির থাকা ইঞ্জিনিয়ারের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কোথায় কী হচ্ছে তা কেউ জানেই না। আপনি কাজের নন।’’