প্রতীকী চিত্র
জঙ্গি কার্যকলাপে জেলার নাম জড়াতেই পুলিশ ও পঞ্চায়েতের কাছ থেকে ক্যারেকটার সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র চাইছে কেরল প্রশাসন, এই দাবি কেরলে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশের। তাঁদের বাড়ির লোকেরাও সো কথা বলছেন। শংসাপত্র জোগাড়ের জন্য কেরল থেকে ফোন আসছেশ্রমিকদের বাড়িতে। জেলা পুলিশ এ ব্যাপারে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বহু পরিযায়ী শ্রমিক ছড়িয়ে রয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। লকডাউনের কারণে অধিকাংশ শ্রমিক ঘরে ফিরলেও মুলত ইদ, পরবের আগেই বাড়ি ফেরেন পরিযায়ী শ্রমিকেরা। আনলক পর্ব শুরু হতেই রুজির টানে অনেকে পাড়ি দিয়েছেন কাজের যায়গায়। তবে এত দিন ধরে কেরলে কাজ করলেও থানা বা পঞ্চায়েত থেকে ক্যারেকটার সার্টিফিকেট প্রয়োজন পড়েনি। সচিত্র পরিচয়পত্র বিশেষ করে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড দেখিয়েই ঠিকাদার সংস্থার অধীনে মিলত কাজ। তবে এ বার পরিস্থিতি বদলেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছ থেকে থানা, পঞ্চায়েতের শংসাপত্র চাইছেন ঠিকাদার ও ঠিকাদার সংস্থা গুলি। কেরল থেকে শ্রমিকেরা বাড়িতে ফোন করে সেই শংসাপত্র জোগাড় করতে বলছেন। গত দু'দিন থেকেই কেরল থেকে ফোন আসা শুরু করেছে হরিহরপাড়া, ডোমকলের বিভিন্ন বাড়িতে। অনেক অভিভাবক থানাতে, জনপ্রতিনিধিদের কাছে যাচ্ছেন শংসাপত্র জোগাড় করতে।
প্রায় আট বছর ধরে কেরলের এর্নাকুলাম থেকে প্রায় ৭৫ কিমি দূরে ত্রিশুর এলাকায় শ্রমিকের কাজ করেন হরিহরপাড়ার পিরতলা গ্রামের বাসিন্দা রিঙ্কু শেখ। ডোমকলের জুড়ানপুর, কুশাবাড়িয়া, গরিবপুর এলাকার এলাকার আরও ন'জন যুবক বর্তমানে এক ঠিকাদারের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। কেরল থেকে ফোনে রিঙ্কু বলেন, ‘‘জঙ্গি গ্রেফতারের ঘটনার পর থেকেই ঠিকাদার ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার কথা বলেছেন। তাকেও নাকি স্থানীয় থানা এই সার্টিফিকেট জমা দিতে বলেছে।’’ আট বছরের মধ্যে এই ঘটনা প্রথম ঘটল বলেই দাবি তাঁর। কেশাইপুর গ্রামের ইব্রাহিম শাহ, আনারুল শেখরা প্রায় ন'মাস ধরে কাজ করছেন এর্নাকুলামের মান্নুর এলাকায়। মঙ্গলবার সেখান থেকেও ফোন আসে কেশাইপুরের বাড়িতে, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে। ফোনে ইব্রাহিম শাহ জানান, "এর্নাকুলাম থেকে যারা ধরা পড়েছে তাদের বাড়িও আমাদের পাশের ব্লকেই। এত দিন এই ধরনের কাগজের কথা কেউ কোনও দিন বলেনি। এবারই প্রথম চাইছে।’’
জেলা পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘এই ধরনের সার্টিফিকেট চাইলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা ছাড়া এই ধরনের সার্টিফিকেটের জন্য শ্রমিকেরা যাতে কাজের যায়গায় হয়রানি না হয়, তার জন্য কেরলের প্রশাসনের সাথেও যোগাযোগ করব।’’