বুথের পথে। রবিবার করিমপুরে। ছবি: প্রণব দেবনাথ
লজেন্স আর চাবির রিং দিয়ে ভোটকেন্দ্রে নতুন ভোটারদের স্বাগত জানানোর ব্যবস্থা থাকছে করিমপুর উপ-নির্বাচনে। নদিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক তেনজি সি ভার্মা রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য আমরা সব রকম ভাবে প্রস্তুত। ভোটারদের সুবিধার জন্যও বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ভোটারদের জন্য ভোটকেন্দ্রে থাকছে নানা রকম ব্যবস্থা। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এমন ছ’টি বুথ চিহ্নিত করা গিয়েছে যেখানে বেশ কিছু মূক ও বধির ভোটার আছেন। কী ভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হবে তা তাঁদের দেখিয়ে দেওয়া জন্য ওই বুথগুলিতে থাকবেন এক জন করে স্পেশ্যাল এডুকেটর। ২৫টি বুথে থাকবে হুইল চেয়ার। প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য এ বার থাকছে ‘পকেট কার্ড’। সেখানে লেখা থাকবে কী ভাবে ভোট দিতে হবে। দৃষ্টিহীন ভোটারদের জন্য ব্রেল প্রদ্ধততে লেখা পকেট কার্ড থাকছে। প্রতিটি বুথে প্রতিবন্ধী ভোটারদের জন্য রাখা থাকবে ‘ফিডব্যাক ফর্ম’। তাঁদের জন্য যে ব্যবস্থা করা হয়েছে তা তাঁদের পছন্দ হয়েছে কিনা এবং আরও কিছু ব্যবস্থার প্রয়োজন আছে কিনা, তা তাঁরা ওই ফর্মে লিখে জানাতে পারবেন। যে সব মহিলার সঙ্গে ছোট শিশু থাকবে তাদের প্রয়োজনে দুধ খাওয়ানোর জন্য ভোটকেন্দ্রের পাশে আলাদা ঘর থাকছে।
রাজনৈতিক দলগুলি আজ ভোটের দিন তাঁদের কর্মীদের খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বেশির ভাগ বুথে ঘুগনি আর মুড়ির ব্যবস্থা থাকছে। তবে কোথাও-কোথাও থাকছে হাতে তৈরি আটার রুটি আর তরকারি। বিজেপি সূত্রের খবর, তারাও বেশির ভাগ বুথে কর্মীদের জন্য হাতে তৈরি রুটি আর তরকারির ব্যবস্থা রাখছেন। সিপিএম বা জোটের কর্মীদের জন্য দলের তরফে কেন্দ্রীয় ভাবে কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। স্থানীয় ভাবে বুথের দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেদের মতো ব্যবস্থা করে নেবেন বলে সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে। সব দলেরই নেতারা বলছেন, এ বার কঠিন লড়াই। তাই কর্মীরা যাতে খাওয়াদাওয়ায় ব্যস্ত হয়ে না-পড়েন তা মাথায় রেখে সাদামাটা মেনু করা হয়েছে।